সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবন সায়াহ্নে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। মোদি সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি কবীর সুমন। ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে গর্জে উঠেছিলেন সাংবাদিক সম্মেলনেও। এবার সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে ফের ঘুরিয়ে সেই কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় তুলে দিলেন তিনি।
বুধবার সকালে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দেন শিল্পী কবীর সুমন (Kabir Suman)। লেখেন, ‘হিন্দি হিন্দুত্ব হিন্দিয়াবাদীরা সফল। বাংলার সুরসম্রাজ্ঞীকে অপমান করে তাড়ানো গ্যাছে।’ কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে বরাবরই ‘উগ্র হিন্দুবাদী’ বলে আক্রমণ করে থাকেন সুমন। সম্প্রতি যা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়েছে। তাই এদিনের এই পোস্টে তিনি ঠিক কোন দিকে আঙুল তুলেছেন, তা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। গীতশ্রীর প্রয়াণের সঙ্গে ‘পদ্মশ্রী’ ইস্যুকে জুড়ে দিয়ে নতুন করে যেন বিতর্ক উসকে দিলেন কবীর সুমন।
[আরও পড়ুন: ‘ও ভগবান, কেন তুমি এমন করলে!’ বাপি লাহিড়ীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ঊষা উত্থুপ]
গত মাসেই পদ্মশ্রী সম্মানের তালিকায় নাম ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukherjee)। তবে সেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন গীতশ্রী। সে সময় কবীর সুমন মোদি সরকারকে একহাত নিয়ে বলেছিলেন, ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ মনোভাব থেকেই গীতশ্রীকে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিল কেন্দ্র! তাঁর ভারতরত্ন পাওয়া উচিত। জানিয়েছিলেন, “যে ভারত সরকার গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখালো, আমি কবীর সুমন, তাদের জুতো পেটা করতে চাই। আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া এটাই। আমার এ মন্তব্য শোনার পর কেউ গ্রেপ্তার করতে পারেন। মানহানির মামলা করতে পারেন। তাতে আমি বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছি না। বাংলার সন্তান আমি। নিজেকে বাঙালি বলতে গর্ব বোধ করি। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় সারা বিশ্বের বাঙালির গর্ব। তাঁকে ছোট করে বাঙালিকে হেয় করলো এই সরকার। রাম শ্যাম যদু মধু পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ। আর গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় স্রেফ পদ্মশ্রী! এই কেন্দ্রীয় সরকার নির্লজ্জ নয় তদুপরি বেহায়া।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু সংবাদ সামনে আসার পরই শিল্পী কবীর সুমনের (Kabir Suman) সঙ্গে যোগাযোগ করে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটাল। ফোন ধরে তিনি বলেন, “সালাম ওয়ালেকুম। মার্জনা করবেন, মার্জনা করবেন, মার্জনা করবেন। আমি কোনও মতামত দিতে পারব না।” তবে আজকের পোস্টে স্পষ্ট হয়ে গেল, মনে মনে ক্ষোভ জমেই ছিল তাঁর। অবশেষে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল। যা নতুন করে উসকে দিল বিতর্ক।