সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: একের পর এক ধাক্কা তৃণমূলে। এবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হিসেবেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, এদিনই দল ত্যাগ করেছেন বীরভূমের অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক নেতা।
শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পথে হেঁটে শেষ কিছুদিন বহু নেতা-মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দলের তরফে তাঁদের মানভঞ্জনের চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা কোনও কাজে আসেনি। একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের তরফে কথা বলা হলেও শেষমেষ তৃণমূল ছেড়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও দলে থাকলেন না জিতেন্দ্রও। এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে বহু বিধায়ক, নেতা-কর্মীই পদ ও দল ছেড়েছেন। শুক্রবার সেই পথেই হাঁটলেন কবিরুল ইসলাম। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা এই নেতার সাফ কথা, “আগামীতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই থাকব। উনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সিদ্ধান্তকে পাথেয় করে চলব। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব আমাদের মতো যুব সমাজেরই।” এতেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে, বিজেপিতেই যোগ দিতে পারেন কবিরুলও।
[আরও পড়ুন: ‘কেন বিজেপিতে যাব?’, বাবুল-অগ্নিমিত্রাদের আপত্তির পর ‘সুর বদল’ জিতেন্দ্রর]
অন্যদিকে, অনুব্রতর (Anubrata Mandal) গড় বীরভূমেও তৃণমূলে ফাটল ধরেছে। শুক্রবার পদত্যাগ করেছে সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ করম হোসেন খান। জানা গিয়েছে, পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েই তিনি মেদিনীপুরে অমিত শাহের (Amit Shah) সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অভিজিত রাণা সিংহ বলেন, “করমবাবু গত দু বছর ধরেই দলে নিস্ক্রীয় ছিলেন। ওর পদত্যাগে দলের কোনও ক্ষতি হল না।” পাশাপাশি, বিজেপির তরফে স্বাগত জানানো হয়েছে করম হোসেনকে।