সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুলের ভিআইপি চত্বরে ফের গাড়িবোমা বিস্ফোরণ। এর জেরে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা শতাধিক। ঘটনাটি ঘটেছে কাবুলের পুরনো মন্ত্রক চত্বরে স্থানীয় সেদারাত স্কোয়্যারের কাছে। যার ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে কাবুলের জনপ্রিয় চিকেন স্ট্রিট। সেদারত স্কোয়্যারেই একটি অ্যাম্বুল্যান্সে বিস্ফোরকটি রাখা ছিল। চিকেন স্ট্রিট ও সেদারাত স্কোয়্যারের দুই চেকপয়েন্টের মাঝেই কোনও একটা জায়গায় অ্যাম্বুল্যান্সটিকে দাঁড় করিয়ে বিস্ফোরক ভরতি করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এলাকাটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন।
[দুর্নীতি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখে খালেদা জিয়া]
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরনো মন্ত্রকের ভবনটি। বিস্ফোরণের শব্দেই কেঁপে ওঠে ঘটনাস্থল-সহ আশপাশের এলাকা। তারপরেই গোটা শহর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ঢেকে যায়। গত দু সপ্তাহ ধরে পরের পর বিস্ফোরণ ঘটছে আফগানিস্তানে। তবে ভয়াবহতার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে এদিনের গাড়িবোমা বিস্ফোরণ।
চলতি সপ্তাহের বুধবার প্রথম নাশকতার ঘটনাটি ঘটে সেফ দ্য চিলড্রেন নামের একটি এনজিও-র দপ্তরে। আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশের জালালাবাদ শহরে বিস্ফোরণটি ঘটায় জঙ্গিরা। সেই সময় দপ্তরের স্কুলে বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল। ক্লাসে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করতেই বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। সেখানেই পাহারায় ছিল নিরাপত্তাকর্মীরা। হামলাকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের একপ্রস্থ হাতাহাতিও হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় ১১ জন জখম হয়েছিল।
তার আগে নাশকতার ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার রাজধানীর বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে বন্দুকবাজের হানায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগই বিদেশি ছিল বলে খবর। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে তালিবান। এদিকে নাশকতা রুখতে সক্রিয় আফগান প্রশাসন। সম্প্রতি প্রতিবেশী পাকিস্তানকে একহাত নেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পুরস্কৃত করেছে আফগানরা। হাতে তৈরি সোনার মেডেল বা সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ট্রাম্পকে। এর পরেপরেই নাশকতার ঘটনা বেড়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।