সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল বলকে কথা বলিয়েছিলেন প্রথম দিনই। পাঁচ-পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার (Bhuvneshwar Kumar)। দ্বিতীয় দিন ভুবি বাংলার ইনিংসে নেন আরও তিনটি উইকেট। ভারতের প্রাক্তন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার সব মিলিয়ে আটটি উইকেট দখল করেন। রনজি ট্রফিতে বাংলা-উত্তর প্রদেশ রনজি ম্যাচে বল হাতে ভুবির দাপট। ২২ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৪১ রান দিয়ে আটটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর। এটাই তাঁর কেরিয়ারের সেরা বোলিং। ভুবির দাপটের দিনে রুখে দাঁড়ালেন মহম্মদ শামির ভাই কাইফ এবং সূরজ। মন্দ আলোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের আগে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। উত্তর প্রদেশের রান বিনা উইকেটে ৪৬। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলা এগিয়ে ৮২ রানে।
প্রথম দিনের শেষে বাংলার (Bengal) রান ছিল পাঁচ উইকেটে ৯৫। তার আগে উত্তর প্রদেশ শেষ হয়ে গিয়েছিল ৬০ রানে। দ্বিতীয় দিন বাংলার ইনিংস শেষ হয় ১৮৮ রানে। ১২৮ রানের লিড নেয় বাংলা। এই উইকেটে ১২৮ রানের লিড অনেক বলতে হবে। মহম্মদ কাইফ ও সূরজ জয়সওয়াল ব্যাট হাতে রুখে না দাঁড়ালে বাংলা এই জায়গায় পৌঁছত না। উল্লেখ্য, বল হাতে মহম্মদ কাইফ চার-চারটি উইকেট নিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে!’, টি-২০ দলে বিরাট-রোহিতের কামব্যাক নিয়ে যুবরাজের বড় মন্তব্য]
এদিন ব্যাট হাতে কাইফ ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। কাইফ এবং সূরজ ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই ৫২ রান যোগ করতে না পারলে বাংলার রান এদিন ১৮৮ হতই না। মোক্ষম সময়ে কাইফ ও সূরজ রুখে দাঁড়ান।
দ্বিতীয় দিনে নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। কুয়াশার জন্য এদিন নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। খেলা শুরু হতেই দ্রুত তিন উইকেট হারায় বাংলা। করণ লাল (১২), শ্রেয়াংশ ঘোষ (৪১) এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক (১) ফিরে যাওয়ার পরে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন দ্রুত মুড়িয়ে যাবে বাংলাব্রিগেড। কিন্তু তখনই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কাইফ ও সূরজ। সূরজ যখন ফিরে যান তখন বাংলার রান ছিল ৯ উইকেটে ১৬২ রান। ঈশান পোড়েল ও কাইফ ২৬ রান জোড়েন। ঈশান পোড়েল ব্যক্তিগত ১০ রান করেন। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে উত্তর প্রদেশের রান বিনা উইকেটে ৪৬। খেলা এখনও বাকি আছে।