রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বেলেঘাটা বিস্ফোরণ ইস্যুতে এবার শাসকদলকে একহাত নিল বিজেপি (BJP)। “তৃণমূল বাংলায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছে”, অভিযোগ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। “শাসকদলের নির্দেশেই বোমা মজুত করছে ক্লাব”, তোপ দাগলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)।
মঙ্গলবার প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বেলেঘাটার (Beleghata) একাংশ। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ বেলেঘাটা গান্ধী ভবনের পাশে একটি ক্লাব থেকে তীব্র শব্দ পান স্থানীয়রা। হুড়মুড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন ক্লাবের ছাদ এবং দেওয়ালের একাংশ উড়ে গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকেও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত বোমা মজুত করা ছিল ক্লাবেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসকদলকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। টুইটে কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে টিএমসি পশ্চিমবঙ্গে বড় বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আজ তার প্রমাণও পাওয়া গেল বেলেঘাটা মেইন রোডের ক্লাবে ভয়াবহ বিস্ফোরণে। ক্লাবটির ছাদটি উড়ে গিয়ে কয়েক মিটার দূরে পড়েছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে যে এখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: বলবিন্দর সিং গ্রেপ্তারি ইস্যুতে ফের টুইট, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য পুলিশকে খোঁচা ধনকড়ের]
ঘটনার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “একুশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পুজোয় ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। যাতে ওরা বোমা মজুত করতে পারে। তার প্রমাণ বেলেঘাটার ঘটনা।” এরপরই কলকাতার সমস্ত ক্লাবে তল্লাশি চালানোর দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি, বেলেঘাটা কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবিতেও সুর চড়ান লকেট। একই দাবিতে সরব হয়েছেন সায়ন্তন বসুও।