সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টার্গেট ছিল ২০০ আসন। কিন্তু বাস্তবে দল দুশো তো দূরের কথা, একশোরও অনেক আগে থেমে গিয়েছে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের থেকে একুশের বিধানসভায় অনেক খারাপ ফলাফল করেছে বিজেপি (BJP)। যার জেরে এবার পদ খোয়াতে পারেন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এমনই জল্পনা শোনা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
কয়েক বছর ধরেই বাংলার দায়িত্বে আছেন কৈলাস (Kailash Vijayvargiya )। লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির সাফল্যের পিছনে তাঁর কৃতিত্বও অস্বীকার করে না গেরুয়া নেতৃত্ব। কিন্তু লোকসভায় বাংলায় ১৮ আসন জয়ের পর থেকেই যেভাবে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে তিনি দলে ঢুকিয়েছেন, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই বহু প্রশ্ন ছিল। ভোটে খারাপ ফলাফল হওয়ার পর সেই প্রশ্ন আরও প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাছাড়া, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর সাংগঠনিক একটা রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা এমনিতেই রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ভোটের ফলের পর প্রথম খড়্গটি পড়তে চলেছে কৈলাসের উপরই। যদিও, প্রকাশ্যে বিজেপি নেতাদের কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, দলে এই বিষয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও কিছু জানায়নি। তবে সূত্রের দাবি, সব ঠিক থাকলে পর্যবেক্ষকের পদ থেকে কৈলাসের অব্যাহতি প্রায় পাকা।
[আরও পড়ুন: আজই পদত্যাগ ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেবের, প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?]
মধ্যপ্রদেশের এই প্রবীণ নেতার পরিবর্তে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী পর্যবেক্ষক কে হবেন তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। শোনা যাচ্ছে এই লড়াইয়ে ফ্রন্ট রানার দু’জন। প্রথমজন রাজস্থানের নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব। এবং দ্বিতীয়জন পাঞ্জাবের তরুণ নেতা এবং বিজেপির তরুণতম সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। কোনও কোনও মহল থেকে আবার আমেঠির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) নামও ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার দরুণ তাঁর এই পদে আসার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। আপাতত দৌড়ে এগিয়ে আছেন অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ ভূপেন্দ্র যাদবই। সম্প্রতি তিনিই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন। আর বাংলার রাজনীতি নিয়ে আগে থেকেই খবরাখবর রাখেন তিনি। এই যুক্তি অবশ্য খাটে তরুণ চুঘের ক্ষেত্রেও। কারণ, ভোটের ফলের পরই বিজেপির তরুণ এই সাধারণ সম্পাদক বাংলা ঘুরে গিয়েছেন। বেশ কিছুদিন ছিলেনও। এখন দেখার ২৪-এর লড়াইয়ে দলের ‘ভাঙা তরী’ পার করতে কার উপর আস্থা রাখে গেরুয়া শিবির।