রাজা দাস, বালুরঘাট: সামনেই কালীপুজো (Kali Puja 2023)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাঁড়িপুকুর গ্রামে পুজো ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের। এই পুজোয় সামিল হন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরাও। সকলে মিলে মেতে ওঠেন উৎসবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ২৫২ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখন্ডে রয়েছে হাঁড়িপুকুর, তেলিয়াপাড়া, উজাল, গোবিন্দপুরের মতো গ্রামগুলো। এর মধ্যে হিলি ব্লকের হাঁড়িপুকুর গ্রামের কালীপুজো উল্লেখযোগ্য। বিএসএফ প্রহরারত কাঁটাতারের গেটের ভিতরে গেলেই দেখা যায়, কিছু জনবসতিপূর্ণ শান্ত নিরিবিলি এলাকা। ২৫ থেকে ৫০ গজ অন্তর থাকা এক-আধ ফিটের পিলার। যা না থাকলে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে দুই ভিন্ন দেশের সীমারেখা। অবস্থানগত কারণে বেড়ার ওপার অর্থাৎ বাংলাদেশের গ্রামের সঙ্গে লাগোয়া ভারতীয় ভূখন্ড হাঁড়িপুকুর। সেখানে হিন্দু-মুসলিম মিলে ৩০ টি পরিবারের বাস। ওই ভারতীয় পরিবারগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের অবাধ মেলামেশা। হাঁড়িপুকুর গ্রামে কালী মণ্ডপের রক্ষণাবেক্ষণ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। সেই কালীপুজোয় এবারও সামিল প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের মানুষেরা। পুজাকে কেন্দ্র করে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় দুই দেশের দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে এক সুর মমতা-শুভেন্দুর! উপাচার্যকে সংশোধনের পরামর্শ বিরোধী দলনেতার]
শুধু গ্রামবাসীরাই নয়, এই পুজোয় সামিল হন সীমান্তের প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানরাও। মুর্তি বিহীন এই পুজোতে থাকে না নিয়ম নিষ্ঠার কমতি। কাঁটাতারের বেড়ায় কার্যতবন্দি গ্রামবাসীরা মেতে থাকেন নিজেদের নিয়ে। অপরদিকে মুসলিমদের ঈদ-মহরম বা অন্য উৎসবে একইভাবে সামিল হন গ্রামের হিন্দু বাসিন্দারা। গ্রামবাসী বাবলু সরকার, বিমল সরকার, ইস্তাক আলি, রবিউল ইসলাম বলেন, “আমরা সকলে নিজেরা পরিচালনা করি কালীপুজো। স্বাধীনতার পর থেকেই এভাবে পুজো চলছে।”