অভিষেক চৌধুরী, কালনা: কালনা রাজবাড়ি চত্বরে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিরাপত্তা রক্ষীকে ধাক্কা ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে কালনা পুরসভার পুরপিতা আনন্দ দত্তের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুরাতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে বর্ধমানের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কালনার মহকুমা শাসক ও এসডিপিরও কাছে ইমেল মারফত অভিযোগ জানানো হল। আরও খবর আগামিকাল কালনা যাচ্ছন ডেপুটি সুপারিটেন্ডেন্ট অফ আর্কিওলজিস্ট পদমর্যাদার আধিকারিক। সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
উলটো রথের দিন কালনা (kalna) রাজবাড়ি চত্বরে থাকা লালাজি মন্দিরে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করেন আনন্দ। সেখানেই টোটো করে মন্দিরে ভিতর জলের ড্রাম প্রবেশ করাতে যান পুরপিতা। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী মন্দিরে চত্বরে টোটো ঢুকতে পারে না। স্বাভাবিক ভাবেই বাধা দেওয়া হয় পুরপিতাকে। তাতেই মেজাজ হারান ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ-সহ ধাক্কা মারেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল), ঝামেলার সঙ্গে থানায় অভিযোগ জানানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিচ্ছেন তিনি। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ অধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানাল কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ফের বেলাইন রেল, উত্তরপ্রদেশে দুর্ঘটনার কবলে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, মৃত ৪]
ইতিমধ্যেই ঝামেলার সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় সোশাল মিডিয়া। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী থেকে আমজনতা সকলেই। কেউ চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবি করেছেন। বিজেপি নেতাদের কথায়, "এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। শাস্তি পাওয়া উচিত।" এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ দত্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। সম্প্রতি তাঁর অপসারণের দাবিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি কোনও কাজ করেননি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ময়দানে নামতে হয়েছিল খোদ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এবার ফের বিতর্কে আনন্দ দত্ত।