অভিষেক চৌধুরী, কালনা: জমি বিবাদের জেরে মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিও। জামিন পেলেন কালনার সেই তৃণমূল নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল বলেই দাবি সরকারি আইনজীবীর। তাই জামিনের বিরোধিতা করার সুযোগও পাননি তিনি।
সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি কালনা শহর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারির একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করছেন তিনি। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। নির্যাতিতার দাবি, তাঁদের বাড়ির পাশেই একটি জায়গায় গোপাল তেওয়ারি এমনভাবে পাঁচিল দেয় যে, বাড়ি থেকে ঢোকা ও বেরোনোর অসুবিধা হচ্ছে। এরমধ্যে শুক্রবার রাতের অন্ধকারে স্কুটি ঢোকাতে গিয়ে নতুন তৈরি পাঁচিলটির একটি অংশ ভেঙে যায়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে মহিলার বাড়ি ঢুকে তার পরিবারের লোকজনকে ওই তৃণমূল নেতা ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, নির্যাতিতার বৃদ্ধ শাশুড়িকেও ছাড়া হয়নি। যার জেরে ৩ জন কালনা হাসপাতালে ভর্তি। ওই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ শনিবার রাতে তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: বনগাঁ লোকালে সিটের নিচ থেকে একটানা ‘হিস হিস’ শব্দ! ব্যাগ খুলতেই চক্ষু ছানাবড়া]
রবিবার তাঁকে কালনা আদালতে তোলা হয়। সোশাল মিডিয়ায় অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেও জামিন পান তৃণমূল নেতা। সরকারি আইনজীবী জানান, ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়নি। তাই জামিনের বিরোধিতা করার সুযোগও পাননি। তবে জামিনের সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। মহিলাকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কীভাবে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।