সুমন করাতি, হুগলি: বিয়েতে হ্যাট্রিক! সোশাল মিডিয়ায় নতুন বউয়ের সঙ্গে আদিখ্যেতা! নেটদুনিয়ায় ফলোয়ার বাড়লেও সেই কাণ্ড কারখানার জন্য রাজনীতির দুনিয়ায় চূড়ান্ত অপমানের মুখে পড়তে হল উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে(Kanchan Mallick)। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁকে বলতে শোনা গেল, "আগেও তোমাকে আসতে বারণ করেছিলাম। গ্রামের দিকের প্রচারে তুমি প্লিজ এসো না। গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিঅ্যাক্ট করছেন।" এর পর তারকা বিধায়ক গাড়ি থেকে নেমে যান। এ বিষয়ে কাঞ্চন মল্লিককে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। তাঁর প্রতিক্রিয়া পেলে সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের জানানো হবে।
ভোটের উত্তাপে ফুটছে বাংলা। শ্রীরামপুরে ভোটপ্রচারে নেমেছেন বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কোন্নগরের নবগ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। হুডখোলা গাড়িতে তাঁর পাশে ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। হঠাৎই তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে নির্দেশ দেন কল্যাণ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আমাকে তো ইলেকশনটা করতে হবে ভাই। আমাকে ইলেকশনটা করতে হবে। তোমাকে আগেও বলেছি, গ্রামের দিকে প্রচারে এসো না। গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিঅ্যাক্ট করছেন। এসো না প্লিজ।" এর পর বিধায়ক কলকাতায় ফিরে এসেছেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ইভিএম-ভিভিপ্যাট ১০০ শতাংশ মিলিয়ে দেখার দাবি, কমিশনের থেকে ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
এ প্রসঙ্গে পরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ওঁকে নিয়ে আগেও প্রচার করেছি। আমার সঙ্গে যখন প্রচারে বেরচ্ছেন তখন গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিয়্যাক্ট করছেন। আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, ‘গ্রামে এসো না।’ উনি মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন কিনা, আমি জানি না।" তাঁর আরও সংযোজন, "উনি তো একজন বিধায়ক। একা-ও তো প্রচার করতে পারেন। সেটা তো করছেন না।" ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি জেলার তৃণমূলের সম্পাদক আচ্ছেলাল যাদব জানিয়েছেন, "দল এধরনের আচরণ সমর্থন করে না। এই ধরনের ব্যবহারের জন্যই দলের নিচুতলার কর্মীদের মনোবল ভেঙেছে।"