সুবীর দাস, কল্যাণী: সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার দাবিতে অবস্থান আন্দোলন করছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সম্প্রতি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান মঞ্চে ‘জগাখিচুড়ি’ নাটক পরিবেশন করে চাকদহ নাট্যজন। অভিযোগ, এই নাটক করার অপরাধে চাকদহ নাট্যজনের নাট্য উৎসবের বুকিং করা হল বাতিল করল কল্যাণী পুরসভা। বিষয়টি নিয়ে তীব্র ধিক্কার জানানো হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে। প্রতিবাদে সোচ্চার বিশিষ্টরাও।
চাকদহ নাট্যজনের কর্ণধার সুমন পাল জানান, ২৩ নভেম্বর থেকে ৬ দিন ধরে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়কে সম্মাননা জানানোর জন্য তাঁর নির্দেশিত ৬টি নাটক পরিবেশন করার জন্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। ২৪ জুলাই এই মর্মে কল্যাণীর ঋত্বিক সদন বুকিংও করা হয়েছিল পুরপ্রধান তথা নাট্যকর্মী নীলিমেশ রায়চৌধুরীর সহযোগিতায়। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরসভা থেকে ই-মেলে জানানো হয় ওই ৬ দিন সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য বুকিং বাতিল করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঢাকায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিমুর অস্বাভাবিক মৃত্যু, গ্রেপ্তার প্রেমিক]
সুমনবাবুর অভিযোগ, সম্ভবত এটি আসল সত্য নয়। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান আন্দোলন প্রাঙ্গণে নাটক ‘জগাখিচুড়ি’ পরিবেশন করার জন্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই বুকিং বাতিল করা হয়েছে। যদিও কল্যাণী পুরসভার উপপ্রধান বলরাম মাঝি বলেন, “নাট্যকর্মীদের জন্যই গড়ে উঠেছে ঋত্বিক সদন। কোনও নাট্যদল বা নাটকের প্রতি বৈরিতা নেই। শুধুমাত্র পুরসভার বিশেষ সরকারি অনুষ্ঠানের জন্যই চাকদহ নাট্যজনপর বুকিং বাতিল করা হয়েছে। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।” বহু চেষ্টা করেও কল্যাণী পুরসভার প্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরীর বক্তব্য জানা যায়নি।
এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় জানান, “নাটক কেন, যে কোনও শিল্প বন্ধ করার বিষয়ে আমি বিরূপ প্রতিক্রিয়াই জানাবো। দেবেশের নাটক বন্ধ করাটাও একদমই সমর্থন করি না। নাটক অনেক সময়ই সমাজের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে। এক্ষেত্রে বোধহয় চাকুরিজীবিদের যে দাবি। সেই দাবি নিয়ে ওনারা কাজ করছিলেন। এটা যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁদের অবশ্যই বোঝা দরকার।”
কৌশিক সেন বলেন, “আমার যেটা মোদ্দা কথা সেটা হচ্ছে আমি সরকারকে বিশ্বাস করি না। এক্ষেত্রে অন্তত। সমস্ত সরকারই। আগেও দেখেছি, এখনও দেখছি। যে কেউ সত্যি কথা বলেন না। ফলে আমি বিশ্বাস করি যে যেহেতু চাকদহ নাট্যজন যে দলটির কথা হচ্ছে এবং তাঁরা যেহেতু সরকার বিরোধী একটি মঞ্চে গিয়ে আন্দোলন করেছিলেন ফলে এটা হতেই পারে যে বর্তমান সরকার হয়তো সেই কারণেই উৎসবটা বন্ধ করতে চাইছে। একটা সমস্যা তৈরি করতে চাইছে। এটা কিন্তু আমি বিশ্বাস করি। যে অভিযোগটা এই নাট্যদল বা যাঁরা ফেস্টিভ্যালটা করছেন আমি সর্বৈব তাঁদের পাশে আছি।”
[আরও পড়ুন: গৌতম হালদারের মৃত্যসংবাদ পেয়ে ভেঙে পড়েছেন বিদ্যা, দ্রুত কলকাতায় আসছেন অভিনেত্রী ]