সুবীর দাস, কল্যাণী: আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতালের চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্যের চিকিৎসক মহল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে কর্মবিরতিতে বসলেন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
তবে জরুরী পরিষেবা চালু রয়েছে। বাকি পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোক। ইতিমধ্যেই অনেকেই রোগীকে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন। তবে চিকিৎসকদের দাবি, আর জি করের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর পরই তাঁরা আন্দোলন থেকে উঠবেন।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের গার্লস হস্টেলে উঁকিঝুঁকি! জুনিয়র চিকিৎসকদের হাতে পাকড়াও ২]
শুক্রবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে তরুণীর চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। তিনি সোদপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এর পরেই এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে পথে নামেন রাজ্যের পর সব হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সেরা। বাদ যায়নি কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। উল্লেখ্য, এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই এমবিবিএসের পড়া শেষ করেছিলেন নির্যাতিতা। কাঁটিয়েছিলেন পাঁচ বছর।
কর্মবিরতি নিয়ে ইএনটি বিভাগের পিজিটি চিকিৎসক শ্রীতমা বিশ্বাস বলেন, " আর জি করে যে ঘটনা ঘটেছে তা অন্ত্যত দুঃখজনক। দ্রুত ধর্ষণকারীদের শাস্তি চাই। কোনও আলাদা ঘটনার রূপ দিয়ে যেন বিষয়টির মোড় যেন ঘুরিয়ে দেওয়া না হয়। এর সঙ্গে হাসপাতালে নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার করতে হবে। তবে প্রধান দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।" তবে এই কর্মবিরতির জেরে ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা। সেই বিষয়ে এক চিকিৎসক পড়ুয়া বলেন, " আমরা পেন ডাউন করেছি। তবে জরুরী পরিষেবা চালু রয়েছে। আমরা এই ঘটনায় যুক্তদের শাস্তি চাই।" ধর্ষণের ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দোষীর ফাঁসির সাজার আবেদন জানিয়েছে।