সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ গোটা বাংলা। যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে নানারকম জল্পনা বহাল, তখন তারকা কিংবা বিশিষ্টমহলে কিন্তু নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। তবে নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি যাদবপুরকাণ্ডে খুনের বিচার চেয়ে পোস্ট করেছিলেন ঋদ্ধি সেন। এবার প্রতিবাদী সুর শোনা গেল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে।
ফেসবুক পোস্টে পরিচালক লিখেছেন, “ব়্যাগিং ব্যক্তিগত হতাশা আর আক্রমণের ঘৃণ্য প্রকাশ। আর তা যুথবদ্ধ হলে ক্ষমতার প্রদর্শনের আস্ফালন আরও বাড়ে। তার সঙ্গে থাকে রাজনৈতিক মদত ও বহিরাগত বা আপন দাদাদের উসকানি। অথচ এহেন বীরপুঙ্গবরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ঘটে যাওয়া যাবতীয় অন্যায় দেখলে কেঁচোর মতো গুটিয়ে রাখেন নিজেদের আর কর্মজীবনে ঘটে যাওয়া সার্বিক অপরাধের সামনে করজোড়ে নতমস্তকে দাঁড়ান।”
এরপরই কমলেশ্বর রাজ্যের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যান্টি ব়্যাগিং ফোরাম গঠন বাঞ্ছনীয় করার জোরালো দাবি তুলেছেন। তাঁর মন্তব্য, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অ্যান্টি ব়্যাগিং ফোরাম তৈরি করা বাঞ্ছনীয়, যাঁদের কাছে ব়্যাগিং আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রয়োজনে নালিশ জানাতে পারে। এবং নবাগত ও নবাগতা ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে এলে সেই ফোরাম যেন প্রতিষ্ঠানে বা হোস্টেলে নজর রাখে। শিক্ষাক্ষেত্র বধ্যভূমি হয়ে উঠতে পারে না।”
[আরও পড়ুন: পুরুষতান্ত্রিক নিয়ম ভেঙে বাবার মৃতদেহ কাঁধে অঙ্কিতা লোখান্ডে, কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়িকা]
প্রসঙ্গত, রবিবার যাদবপুর পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুতে আরও ২ পড়ুয়া গ্রেপ্তার হয়েছে। এর আগে পুলিশের জালে পড়ে সৌরভ চৌধুরি। ওই পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস্’ রজত রায়ও মুখ খুলেছেন সংবাদ প্রতিদিন-এর কাছে। তাঁর মন্তব্য, “র্যাগিং অন্যায়। যারা করছে তারা তো বটেই, যারা অপরাধীদের সাহায্য করে তারাও অপরাধী বলে আমি মনে করি। আমি হস্টেল থেকে আগেও ছোটখাটো একাধিক অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলো র্যাগিংয়ের নয়। অনেকবার ফোন এসেছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও কোনও সময় আমার বিরুদ্ধেই একাংশ সরব হয়েছেন। আমাকে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা হয়েছে।”