সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কামদুনিতে গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের। স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে সুপ্রিম কোর্টে যাওভার ভাবনা রাজ্য সরকারের। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই সিআইডি কর্তারা কামদুনিতে যান। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। কথা হয় কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালের সঙ্গেও।
শুক্রবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ হয়ে ওঠা টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালদের গভীর হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ক্ষোভ ছড়ায় কামদুনি এলাকাতেও।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের ধরনার মাঝে কলকাতায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী, চাপে BJP?]
কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একজন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বেকসুর খালাস হয়ে গেল। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে এই রায় হত না। রাজ্য সরকারেরও গাফিলতি রয়েছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কামদুনি মোড়ে প্রতিবাদ সভা হবে। সোমবার আমরা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন ফাইল করব।’’
হাই কোর্টের রায় নিয়ে তেতে ওঠে রাজনীতিও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কামদুনির নির্যাতনে তৃণমূলের কর্মী যুক্ত, তাই অপরাধীদের আইন থেকে পালাতে সাহায্য করল পুলিশ। নির্যাতিতা বিচার পেল না।’’ পালটা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশের যে তদন্তে ফাঁসির সাজা হয়, সেই তদন্তেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশও হয়। কী সাজা হবে সেটা তো আদালতের বিচার্য বিষয়।’’