সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষি বিল ফেরানোর দাবি তুলেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। এমনকী, স্পষ্ট বলেছিলেন, বিল না ফেরালে ফের কৃষকদের আন্দোলনের পথে হাঁটা উচিত। কঙ্গনার এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরেই শুরু হয় বিতর্ক। বিতর্ক বেড়ে যেতেই বিজেপির মুখপাত্র স্পষ্ট জানান, ''কঙ্গনার এমন বক্তব্য একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত। কৃষি বিল নিয়ে বলার তাঁর কোনও এক্তিয়ার নেই।'' তবে এখানেই বিতর্ক শেষ হয় না। বিজেপির রোষানেল পড়ে গোটা কাণ্ডর জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন কঙ্গনা। সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করে কঙ্গনা জানান, ''আমার বক্তব্য আমি ফিরিয়ে নিচ্ছি। যদি আমার বক্তব্যে কারও মনোভাবে আঘাত লাগে, তার জন্য আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।''
সম্প্রতি 'এমার্জেন্সি' ছবির প্রচারে কৃষক আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা। কঙ্গনা বলেছিলেন, 'কৃষকদের আন্দোলন বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি ডেকে এনেছিল।' কঙ্গনা আরও দাবি করেন, কৃষকদের আন্দোলনস্থলে মৃতদেহ ঝুলছিল এবং সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছিল। মাণ্ডির সাংসদের সেই মন্তব্যের জেরে তাঁকে দলের ভর্ৎসনার শিকার হতে হয়। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কঙ্গনাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন এবং বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল, কঙ্গনার মন্তব্য দল সমর্থন করে না। আর সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই তিন বিতর্কিত কৃষি আইন ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে নতুন করে দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনা রানাউতের ‘এমার্জেন্সি’ সিনেমা নিয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। এবার ছবি নিয়ে আরও বিপাকে অভিনেত্রী। কঙ্গনাকে নোটিস পাঠিয়েছে চণ্ডীগড়ের জেলা আদালত। আইনজীবী রবিন্দর সিং বাসসির অভিযোগের ভিত্তিতেই এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর। যিনি আবার সেখানকার ডিস্ট্রিক্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’ নিয়ে এর আগেও শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়েছে। ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’র তরফে। অস্ট্রেলিয়া শিখ কাউন্সিলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল লিখিত অভিযোগ। শিরোমণি অকালি দলও প্রবল আপত্তি জানায় ছবি নিয়ে। সেন্সর বোর্ডের হস্তক্ষেপ দাবি করে আদালতে মামলাও করা হয়েছিল। তবে জল্পনা, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র কঙ্গনার ছবি পেয়ে গিয়েছে।