সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেটিজেনরা বলছেন কঙ্গনা রানাউত ফের ক্ষেপেছেন! না হলে কী আর, ইনস্টাগ্রামকে নিয়ে উলটোপালটা বলেন, ইনস্টাগ্রামেই! তবে নিন্দুকরা অবশ্য কঙ্গনার এই কীর্তির পিছনে আসল কারণটা ধরে ফেলেছেন। নিন্দুকদের কথায়, কঙ্গনার এসব কারসাজি একেবারেই নাকি টুইটারকে ফেরত পাওয়া জন্য।
ব্যাপারটা একটু বিশদে বলা যাক বরং। এলন মাস্ক টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কঙ্গনা (Kangana Ranaut) দিন গুনছেন টুইটার ফেরত পাওয়ার জন্য। আর সেই কারণেই, কথায় কথায় টুইটারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেত্রী। তবে টুইটারের প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে কঙ্গনা কিন্তু তুলোধনা করছেন অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে। এই যেমন, সম্প্রতি কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ইনস্টাগ্রামকে ‘বোকা’ প্ল্য়াটফর্ম বলে সম্বোধন করলেন। কঙ্গনা লিখলেন, ”ইনস্টাগ্রাম একেবারে নির্বোধ। শুধুই ছবি দেওয়ার জন্য। একজন নিজের যা মতামতই লেখে তা ২৪ ঘণ্টা পর গায়েব হয়ে যায়। একেবারেই ডাম্বো। তার উপর কিছু লোক আছে যারা নিজেরাই জানে না তাঁরা কী চায়, তাঁরা কী ভাবছে। তাই এর থেকে গায়েব হয়ে যাওয়াই তো ভাল।”
[আরও পড়ুন: জিম করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত, ৪৬ বছরেই প্রাণ হারালেন টেলি অভিনেতা সিদ্ধান্ত]
কঙ্গনা আরও লেখেন, ”কিন্তু আমাদের মতো অনেকেই তো আছে যারা নিজেদের ভাবনার ব্যাপারে স্থির। অনেকেই চায় তাঁদের ভাবনা যেন পরেও ডকুমেন্টেড থাকে যাতে অন্যেরা দেখতে পারে। তাঁদের মনের কথা যেন হারিয়ে না যায়। এগুলো আসলে মিনি ব্লগ। এগুলো খোলা থাকা উচিত বিষয় এবং বস্তুর আরও উন্নতির জন্য।” অন্যদিকে কঙ্গনা তাঁর বক্তব্যে প্রথম থেকেই টুইটারকে বুদ্ধিদীপ্ত সোশ্য়াল মিডিয়া বলে সম্বোধন করে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত ভীষণ খুশি। যেই না তাঁর কানে এসেছে টুইটারের মালিকানা বদলের খবর, অমনি নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছে কঙ্গনার টুইট করার অভ্যাস। এতদিন যে কঙ্গনাকে বাধ্য হয়ে টুইটার থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল, সেই কঙ্গনার আশা মালিকানা বদল হওয়াতে তিনি ফের টুইটারে আসার সুযোগ পাবেন। আর সেই আশা নিয়েই ইনস্টাগ্রামে স্টোরি পোস্ট করলেন বলিউডের এই বিতর্কিত কুইন।
কঙ্গনা (Kangana Ranaut) যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা গিয়েছে, এক নেটিজেন লিখেছিলেন, “বাকস্বাধীনতা বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার হ্যান্ডেলকেও ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।” কঙ্গনা রানাউত এলন মাস্ককে (Elon Musk) ট্যাগ করে ওই পোস্ট করেছেন। এর থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে, কঙ্গনা রানাউত তাঁর প্রোফাইল চটজলদি ফেরত পেতে চাইছেন।
গত বছর মে মাসে কঙ্গনার টুইটার হ্যান্ডেলকে বরাবরের মতো সাসপেন্ড করা হয়। রাজনৈতিক উসকানিমূলক টুইট করার কারণেই এমনটি ঘটেছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদও করেছিলেন কঙ্গনা।
অন্যদিকে, টুইটার টেকওভারের আগে এলন মাস্ক নিজেই জানিয়ে ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া টুইটার হ্যান্ডেলের সাসপেনশেন সরানো হবে। এলনের সেই বক্তব্য শুনেই আশায় বুক বেঁধেছেন কঙ্গনা।