সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথাতেই আছে যত দোষ, নন্দ ঘোষ… বাংলার এই প্রবাদবাক্যকে করণ জোহরের জন্য সার্থক করে তুলছেন কঙ্গনা রানাউত। কারণ, বিটাইনে উনিশ-বিশ হলেই ক্যুইন তাঁকে দায়ী করতে ছাড়েন না। কঙ্গনার কাছে করণ জোহরই নন্দ ঘোষ! এবার রণবীর কাপুর কেন শ্রীরামের ভূমিকায় অভিনয় করছেন? সেই জন্যও করণ জোহরকেই খোঁচা দিলেন অভিনেত্রী।
শনিবারই রণবীরকে ‘রোগা সাদা ইঁদুর’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই আরও রণংদেহী মেজাজে নোংরা আক্রমণ অভিনেত্রীর। এবার করণ জোহরকে ‘শকুনি’ এবং রণবীর কাপুরকে ‘দুর্যোধন’ বলে আক্রমণ করলেন।
কঙ্গনার মন্তব্য, “গতকালের গল্প আরও বিশদভাবে বলতে গেলে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সব ধরনের আপদ রয়েছে। কিন্তু সবথেকে খারাপ হল, এই দুর্যোধন (সাদা ইঁদুর) এবং শকুনি (পাপা জো) জুটি। তাঁরা নিজেরাই স্বঘোষিত পরনিন্দা-পরচর্চাকারী, হিংসুটে, এবং হীনমন্যতায় ভোগা লোক। ওঁরা নিজেদেরকে বলিউডের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক বলে মনে করে। গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এটা জানে যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের বিরুদ্ধে সমস্ত চক্রান্তের নেপথ্যে ওরাই প্রধান সন্দেহভাজন ছিল। যা সুশান্তকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমনকী, ওরা আমার বিরুদ্ধেও ভিন্ন ধরণের কুরুচিকর গুজবও ছড়িয়েছে।” এখানেই অবশ্য থামেননি কঙ্গনা রানাউত।
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ পথদুর্ঘটনার কবলে রুবিনা দিলাইক! দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি, মাথায় চোট]
হৃতিক রোশনের সঙ্গে তাঁর অতীত-কিস্যা উল্লেখ করে কঙ্গনা এও বলেন, “আমার সঙ্গে হৃতিকের যখন ঝামেলা চলছিল, এরা সেখানে ইচ্ছে করে রেফারির ভূমিকা পালন করেছে। তারপর আমার জীবন এবং কেরিয়ারে তাদের হস্তক্ষেপ হয়রানির থেকে কোনও অংশে কম নয়। যেহেতু আমি ওদের এই কেচ্ছাগুলো প্রকাশ্যে এনেছি, তাই ওরা আমার সিনেমার বিরুদ্ধে কুকথা রটিয়েছে। আমার পায়ের তলার মাটি হয়তো এখনও অতটা শক্ত নয়। কিন্তু একদিন আমার ক্ষমতা হলে আমি ওদের সব কুকীর্তি ফাঁস করব। ডার্ক ওয়েব, হ্যাকিং, গুপ্তচরবৃত্তি এবং গোপনে মানহানি… কী করেনি ওরা? এগুলোই ওদের জেলে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।”
প্রসঙ্গত, নীতিশ তিওয়ারি পরিচালিত রামায়ণ-এ রামের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে এবং সীতার চরিত্রের জন্য নির্মাতারা আলিয়া ভাটকে ভেবেছেন। প্রাথমিক স্তরে কথাও এগিয়েছে। সেই খবর ট্রেন্ডিং হওয়ার পরেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন কঙ্গনা রানাউত।