সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ছবি গ্যাংস্টার হিট হওয়ার পরেই নাকি রাজনীতিতে আসার ডাক পেয়েছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু তখন কঙ্গনার কাছে কেরিয়ারই ছিল মূল্যবান। সেই দিন এখন অতীত। বলিউডের ক্যুইন হওয়ার পাশাপাশি কঙ্গনা এখন বিজেপি সাংসদ। যার উদ্দেশ্য রাজনীতি পা দিয়ে হিমাচলকন্য়া হয়েই কাজ করা। সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়েই মন খোলসা করলেন কঙ্গনা। মাণ্ডির নতুন সাংসদ জানালেন, ''আমার দাদু ছিলেন এমএলএ। তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমার রক্তেই রাজনীতি রয়েছে। এমনকী, আমার বাবাও একবার ভোটে দাঁড়ানোর অফার পেয়েছিলেন। আমার বোন রঙ্গোলিও রাজনীতিতে আসার অফার পেয়েছিল। তাই নির্বাচন ও রাজনীতি আমার জন্য নতুন নয়।''
কঙ্গনা আরও বলেন, ''আমি একজন এমন মানুষ, যাই করি না কেন, প্যাশন দিয়ে করি। রাজনীতিটাও করব। আর আমার মনে হয়, একজন নেতার জীবন ডাক্তারের মতোই কঠিন।''
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দূষণমুক্তিতে দ্বিতীয় কলকাতা, নিন্দুকদের তোপ ফিরহাদের]
বলিউডে লড়েছিলেন নেপোটিজমের বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে এসেও সেই নেপোটিজমের সঙ্গেই লড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে দেখা গেল, যে কোনও নেপোটিজমের বিরুদ্ধেই তিনি লড়াইয়ে দড়। অতএব মাণ্ডিতেও শেষ হাসি হাসলেন বলিউডের ‘ক্যুইন’ কঙ্গনা রানাওয়াত।
জয়ের পর সাংবাদিক বৈঠকে কঙ্গনা বলেন, ”এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল। যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, সেহেতু নানা অনিশ্চয়তা ছিল। এটা আমার প্রথম জয়ও। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয়কর্মীদের। নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে। যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ। তবে মাথানত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে। মাণ্ডিকন্যা, মাণ্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে। মাণ্ডির সেনা হিসেবে মাণ্ডিকে রক্ষা করব। বিকাশ করব। ”