সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে ফের শিরোনামে তিনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সৌজন্যে কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। অভিনেত্রী তথা এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “একটা কথা পরিষ্কার করে বলুন, আমরা যখন স্বাধীনতা পেলাম, তখন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাসচন্দ্র বসু কোথায় গিয়েছিলেন?” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেহরুর নাম না নিয়ে কেন নেতাজির উল্লেখ করলেন কঙ্গনা?
তবে এই দাবির সঙ্গে সঙ্গে ফের আলোচনায় আসতে শুরু করেছে এক বহু পুরনো ইতিহাস। যে ইতিহাসকে সামনে রেখে নেতাজিকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কেন বলা হবে, এমন প্রতর্ক আজকের নয়। আসলে ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকারের ঘোষণা করেন নেতাজি। এবং নিজেকে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে যুদ্ধ ও বিদেশ দপ্তরও নিজের অধীনে রাখার কথা জানান নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose)। ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী স্বামীনাধন ছিলেন মহিলা সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তিনি রানি ঝাঁসি রেজিমেন্টেরও প্রধান ছিলেন। উল্লেখ্য, কেবলমাত্র মহিলাদের নিয়ে তৈরি কোনও রেজিমেন্ট এশিয়ায় সেই প্রথম।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার, বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের]
সেই আজাদ হিন্দ সরকার নিজেদের ভারতীয় নাগরিক ও দেশের সেনা আধিকারিকদের কর্তৃপক্ষ হিসেবে দাবি করেছিল। এমনকী, নিজেদের মুদ্রা, আদালত ও ন্যায় সংহিতা সবকিছুরই ঘোষণা করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও আরও বহু সিনিয়র নেতাকেই কিন্তু বলতে শোনা গিয়েছে, সেদিনের সেই আজাদ হিন্দ সরকার শক্তিশালী অবিভক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। খোদ মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''নেতাজি কেবল ভারতীয়দের কাছে উদ্দীপনা মাত্র ছিলেন না। সারা বিশ্বে যাঁরা স্বাধীনতা ও আত্মসম্মান রক্ষার লড়াই লড়ছিলেন সকলের জন্যই তিনি অনুপ্রেরণা।'' কঙ্গনার দাবি সেই বিস্মৃতপ্রায় ইতিহাসকেও যেন নতুন করে তুলে ধরল।