সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিদিয়ের দেশঁকে সরিয়ে জিনেদিন জিদানকে ফ্রান্সের কোচ করা হলে অবসরের সিদ্ধান্ত পালটাতে পারেন করিম বেঞ্জেমা। এমনই দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের একাংশের।
ফরাসি কোচ দেশঁর জেদেই এবার বিশ্বকাপে বেঞ্জেমার মাঠে নামা হয়নি। কাতারে প্রথম দিনের অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন এ বছরের ব্যালন ডি’অর জেতা ফুটবলার। কাতার থেকে রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) অনুশীলন কেন্দ্রে গিয়ে শুশ্রূষার পর তিনদিনে সুস্থও হয়ে ওঠেন। ক্লাবের হয়ে লেগানসের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে দাপিয়ে খেলতে দেখাও যায় তাঁকে। যা দেখে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ইচ্ছা ছিল ফাইনালে বেঞ্জেমা খেলুন। কিন্তু খোদ প্রেসিডেন্টের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন দেশঁ। যে ঘটনায় কোচ ও বেঞ্জেমার সম্পর্ক ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এরপরই সোমবার টুইট করে দেশের হয়ে আর না খেলার কথা জানিয়ে দেন বেঞ্জেমা (Karim Benzema)।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের, এবার এক বিধায়কের কাজ দেখবেন অন্য বিধায়ক]
ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, দিদিয়ের দেশঁকে সরিয়ে জিদানকে ম্যানেজার করা হলেই অবসর ভেঙে ফ্রান্সের জার্সি পরতে রাজি বেঞ্জেমা। যদিও এ বিষয়ে বেঞ্জেমা নিজে কিছু বলেননি। তারপরও গোটাটা নির্ভর করছে বর্তমান কোচ দেশঁর (Didier Deschamps) সিদ্ধান্তের উপর। তিনি থাকবেন না পদত্যাগ করবেন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি ফরাসি কোচ। আগামী সপ্তাহে দেশের ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে দেশঁর বৈঠক হওয়ার কথা। তাঁর ভবিষ্যৎ তখনই নির্ধারিত হওয়ার কথা। তার আগেই অবশ্য জিদানের হয়ে মুখ খুলেছেন জার্মানির প্রাক্তন বিশ্বকাপ তারকা টনি ক্রুজ। রিয়াল মাদ্রিদ দলে কোচ হিসাবে জিদানকে কাছ থেকে দেখেছেন ক্রুজ। তিনি বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত ফ্রান্সের কোচ হিসাবে জিজুই যোগ্যতম।’’
এদিকে বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর প্রকাশ্যে ফ্রান্স শিবিরের ঘরোয়া কোন্দল। করিম বেঞ্জেমার পর এবার বিতর্কের কেন্দ্রে ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভার্ড। ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের খবর, পাভার্ডের বিরুদ্ধে দলের আভ্যন্তরীণ পরিবেশ বিষাক্ত করে তোলার অভিযোগ উঠেছে। দলের কিছু ফুটবলারের অভিযোগ, সতীর্থদের গালিগালাজ করা ছাড়াও ভিতরের খবর সাংবাদিকদের কাছে নিয়মিত ফাঁস করেছেন পাভার্ড। রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম নায়ক পাভার্ড এবার প্রথম দিকে প্রিয়পাত্র ছিলেন দেশঁর। গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাইট ব্যাক হিসাবে মাঠেও নামেন। দল ৪-১ গোলে এগিয়ে থাকার সময় তাঁকে বসিয়ে কঁতেকে নামান দেশঁ। এরপর গোটা বিশ্বকাপে বেঞ্চেই জায়গা হয় তাঁর। যে কারণে কোচের সঙ্গে গোটা বিশ্বকাপই তুমুল ঝামেলা হয়েছে পাভার্ডের। সতীর্থদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন। তবে পাভার্ডকে প্রথম থেকেই সমর্থন করে এসেছেন জিরু ও লরিসের মতো অনেকে।