সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি চাকরির ধাঁচে বেসরকারি চাকরিতেও সংরক্ষণ। তাও আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত! কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার ঘোষিত এই নয়া প্রস্তাব নিয়ে সরগরম তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প। কর্নাটকের (Karnataka) রাজধানী বেঙ্গালুরু দেশের অন্যতম আইটি হাব। এ হেন শহরে যদি মেধার ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ না করে শুধু ভাষার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হয়, তাহলে সেটা তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্যও উদ্বেগের। তাঁদের আশঙ্কা, এই সংরক্ষণের গেরোয় পড়ে অযোগ্যদের চাকরি দিতে হবে। যা আসনে সংস্থার জন্য বিপজ্জনক।
কর্নাটক সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বায়োকনের (Biocon) কিরণ মজুমদার শ' বলছেন, "টেক হাব হিসেবে আমরা দক্ষ, মেধাবি লোক চাই। সেখানে স্থানীয়দের যদি সব চাকরি দিতে হয়, তাহলে হবে কী করে? যে চাকরিতে উচ্চ মেধা ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়, সেগুলিকে ছাড় দেওয়া উচিত।" ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও মোহনদাস পাই কিরণ মজুমদার শয়ের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, "এই বিল প্রত্যাহার করা উচিত। এটা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক, পশ্চাৎমুখী এবং সংবিধান বিরোধী বিল। ভাবাই যায় না, বেসরকারি ক্ষেত্রের নিয়োগ কমিটির চেয়ারে একজন সরকারি অফিসার বসে থাকবেন! পরীক্ষা নেওয়া হবে মেধা-দক্ষতার বিচারে নয়, শুধুমাত্র ভাষার বিচারে।"
[আরও পড়ুন: কুমিরে ভরা হ্রদে গাড়ি ও বাইক নিয়ে ‘স্টান্ট’! করুণ পরিণতি যুবকদের]
কর্নাটক অ্যাসোচেমের (Assocham) কো-চেয়ারম্যান আরকে মিশ্র বলছেন, "এই বিল অত্যন্ত অদূরদর্শী পদক্ষেপ। একজন সরকারি অফিসার যদি প্রত্যেক বেসরকারি কোম্পানির নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে বসে থাকেন, তাহলে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে।" স্বর্ণ গ্রুপের এমডি ভিএসভি প্রসাদের বক্তব্য, "এভাবে সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিলে শেষমেশ সমস্ত সংস্থা নিজেদের কাজই বন্ধ করে দেবে। আগামী দিনে কোনও সংস্থা রাজ্যে বিনিয়োগ করতে চাইবে না। তাতে শেষ পর্যন্ত কন্নড়দেরই ক্ষতি।"
[আরও পড়ুন: কেজরির জামিন মামলা, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রসঙ্গ তুলে সরব আইনজীবী]
ক্ষোভের আঁচ পেয়ে খানিকটা ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। তিনি বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে সংরক্ষণের কথা বলছেন সেটা এখনও প্রস্তাব আকারে রয়েছে। এটা নিয়ে আরও পরামর্শের প্রয়োজন আছে।