সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেখানো পথেই হাঁটছে দক্ষিণের রাজ্যগুলো। মোদি সরকারের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে দিল্লিতে ধরনায় বসছেন তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়করা। কর্নাটক (Karnataka), কেরল (Kerala) ও তামিলনাড়ু (Tamil Nadu)- তিন অবিজেপিশাসিত রাজ্যের প্রতিনিধিরা বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই।
বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধরনায় বসেছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। যোগ দেন তামিলনাড়ুর বহু নেতা-মন্ত্রীও। তাঁদের দাবি, ইচ্ছা করে রাজ্যের বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তাছাড়াও জিএসটি সংগ্রহে নিজেদের অংশ মিলছে না বলেও দাবি কর্নাটকের। বুধবার দিল্লির পালটা কংগ্রেস সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভ করে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: আইএএসের সন্তান, তবু কেন সংরক্ষণ? পাঞ্জাবকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন]
প্রতিবেশী কর্নাটকের মতোই একই পথে হাঁটছে কেরল ও তামিলনাড়ু। কেরলের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে ঘুরপথে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করছে কেন্দ্র। কেরল থেকে জিএসটি বাবদ যে অর্থ আদায় করেছে মোদি সরকার, তার মাত্র ১ শতাংশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। যৌথ প্রকল্পে গত অর্থবর্ষে কেরলের জন্য ৩০ হাজার কোটি বরাদ্দ করলেও চলতি বছরে তা কমিয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে বিজয়ন সরকারের কয়েকশো কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বারবার সরকারের তরফে চিঠি দিয়ে বা দপ্তরের মন্ত্রীরা দিল্লিতে এসে দরবার করলেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার যন্তর মন্তরে ধরনায় বসবেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীরা।
যেভাবে যন্তর মন্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সব মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের ধরনায় বসতে নির্দেশ দেন, ঠিক সেই পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনও। সংসদ ভবনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা শুরু করবেন ডিএমকে সাংসদরা। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে (Delhi) তাঁদের এই ধরনায় যোগ দেবেন ডিএমকের শরিক দলের জনপ্রতিনিধিরাও।