সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী কেন রাতের খাবার দিতে দেরি করছে। স্রেফ এই কারণে মেজাজ হারিয়ে তাঁকে খুন করে মাথা কেটে ফেলল স্বামী! তার পর গোটা দিন ধরে তাঁর শরীর থেকে উপড়ে নিল চামড়া! এমনই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের (Murder) অভিযোগ উঠল কর্নাটকে। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে। সে নিজের অপরাধ কবুল করেছে বলেও দাবি পুলিশের।
ঠিক কী হয়েছিল? কর্নাটকের (Karnataka) টুমকুরে দশ বছরের দাম্পত্য শিবরামা ও তাঁর স্ত্রী বছর পঁয়ত্রিশের পুষ্পলতার। তাঁদের একটি আট বছরের ছেলেও রয়েছে। প্রতিবেশী ও বাড়িওয়ালার দাবি, খুচখাচ গোলমাল হলেও কখনও তেমন বড় ঝগড়া তাঁরা কেউ হতে দেখেননি দুজনের মধ্যে। কিন্তু অভিযোগ, সোমবার রাতে দুজনের মধ্যে বচসা বাঁধে। পুলিশের দাবি, রাতের খাবার দিতে দেরি হওয়া নিয়েই ঝগড়ার সূত্রপাত। এর পর ক্ষুব্ধ পুষ্পলতা নাকি স্বামীর বেকারত্ব নিয়ে খোঁটা দেন। ফলে কলহ চরমে ওঠে।
[আরও পড়ুন: পুঞ্চ হাইওয়ে থেকে খাদে পড়ল যাত্রীবাহী বাস, কাশ্মীরের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত কমপক্ষে ২১]
আর তার পরই নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে শিবরামা, অভিযোগ পুলিশের। কেবল তাই নয়, এর পর নাকি কুড়ুল দিয়ে পুষ্পলতার শিরশ্ছেদ করে তাঁর শরীর থেকে চামড়াও তুলে ফেলে অভিযুক্ত। ছোট্ট ছেলেটি পাশের ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় সে কিছুই জানতে পারেনি। সারা রাত ধরে স্ত্রীর চামড়া ছাড়ানোর পর ভোরবেলা বাড়ির মালিককে ডেকে নিজের অপরাধের কথা বলে শিবরামা। খবর যায় পুলিশে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে সব অপরাধ কবুল করে নেয়।
পড়শিরা জানিয়েছেন, রক্তের মধ্যে শায়িত ছিলেন পুষ্পলতা। তাঁর ধমনী ও অন্ত্র বাইরে থেকেই দৃশ্যমান ছিল। এই বীভৎস দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন সকলে। কী করে শিবরামা এমন কাজ করতে পারে ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।