সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার কন্নড়বাসীর রায় গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে রাজ্যে রাজনীতির পারদ চড়ছে হু হু করে। কর্ণাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly Election) নির্বাচনের প্রচার ঘিরে কংগ্রেস-বিজেপি আক্রমণ পর্ব জারি ছিল। এবার সেটা নতুন মাত্রা পেল। প্রথমবার আসরে নামলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পালটা পরপর দু’দিন রোড শো-তে প্রধানমন্ত্রী মোদিও।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম ভোটের প্রচার করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। শনিবার কর্ণাটকে লিঙ্গায়েত অধ্যুষিত হুব্বলিতে জনসভা করেন সোনিয়া (Sonia Gandhi)। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ওই সভা থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী বলেন, ‘৪০ শতাংশ কমিশনের সরকার চলছে। কর্ণাটককে এই দুর্নীতির সরকার থেকে মুক্ত করতে হবে।’ বিজেপির অভিশাপ থেকে মুক্ত করলে তবেই কর্ণাটকের নিজস্বতা বজায় থাকবে। সোনিয়া অভিযোগ করেন, “এখন বিজেপি প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। বলছে, বিজেপি না জিতলে কর্নাটক মোদীর আশীর্বাদ পাবে না। কর্নাটকের মানুষ কারও আশীর্বাদের ভরসায় থাকে না। নিজের পরিশ্রমের ভরসায় চলে।”
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের সর্বশেষ জনমত সমীক্ষায় কঠিন লড়াইয়ের ইঙ্গিত, কে এগিয়ে?]
সোনিয়া একা নন, প্রিয়াঙ্কা, রাহুল, খাড়গে (Mallikarjun Kharge) কংগ্রেসের সব শীর্ষ নেতাই পড়ে আছেন কন্নড় রাজ্যে। যার জবাব দিতে আসরে নামতে হচ্ছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা তো আছেনই। খোদ মোদিও কার্যত সব কর্মসূচি ভুলে কন্নড় রাজ্যে পড়ে আছেন। স্রেফ বেঙ্গালুরুতেই পরপর দু’দিন রোড শো করছেন তিনি। শনিবার প্রায় ২৬ কিলোমিটার রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী। বেঙ্গালুরু রিজিয়নের প্রায় ১০টি বিধানসভা আসন ছুঁয়ে যায় মোদির রোড শো। রবিবারও বিরাট রোড শো-র আয়োজন করছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই বেরিয়ে পড়েছেন। রবিবারও বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপর দিয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রীর রোড শো।
[আরও পড়ুন: থমথমে মণিপুর, বিজেপিশাসিত মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি কংগ্রেসের]
কিন্তু এতকিছুর পরও বিজেপির শেষরক্ষা হবে তো? প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে দলের অন্দরেই। প্রায় সব জনমত সমীক্ষা বলছে, কন্নড়ভূমি দখলের লড়াইয়ে এই মুহূর্তে এগিয়ে কংগ্রেসই। এবং ভালভাবেই এগিয়ে হাত শিবির।