সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃশংসতার চরম সীমা পার করলেন মা! স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বছর ছয়েকের মূক-বধির সন্তানকে কুমির ভর্তি খালে ফেলার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। সকালে ওই খাল থেকে শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ (Police)। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) উত্তর কন্নড় জেলার হালামাডি গ্রামে। নিজের সন্তানের প্রতি মায়ের এমন নৃশংসতা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম সন্তান মূক-বধির হওয়ায় স্ত্রী সাবিত্রীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত রবি কুমারের (২৭)। সন্তান বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়ায় স্ত্রীকে দোষারোপ করতেন রবি। যার জেরে একাধিকবার সন্তানকে খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন সাবিত্রী। শনিবার রাতে এই নিয়ে অশান্তি ফের চরম আকার নেয় ওই দম্পতির মধ্যে। অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ ৬ বছরের সন্তানকে নিয়ে স্থানীয় কালী নদীর নিকটবর্তী কুমির ভরা খালে ফেলে দিয়ে আসেন সাবিত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘আনুগত্যের নিরিখে নিয়োগ’, রাহুলের মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি ২০০ উপাচার্যের]
স্থানীয়দের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার কথা জানতে পেরে রাতেই পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ও ডুবুরির সাহায্য নিয়ে রাতেই ওই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। তবে অন্ধকারের জন্য ওই শিশুর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে খাল থেকে উদ্ধার হয় শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। তার একটি হাত ছিল না। শরীরের সর্বত্র কামড় ও আঘাতের চিহ্ন ছিল শরীরে।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে তপ্ত আমেঠি! কংগ্রেস কার্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলা, চলল ভাঙচুর]
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। এবং তাঁর স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই দুম্পতির আরও একটি ২ বছরের সন্তান রয়েছে। এই নৃশংস ঘটনার জেরে দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।