সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। রামমন্দির গড়ার ডাকে সাড়া দিয়ে অযোধ্যায় একত্রিত হয়েছিলেন করসেবকরা। এর পরই ঘটে সেই ঘটনা। বাবরি মসজিদের চূড়ায় উঠে ধ্বংসলীলায় মেতে ওঠেন কারসেবকরা। বিজেপি নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে সেদিনের বাবরি ধ্বংসের ইতিহাসে আজও ধুলো পড়েনি। তবে দীর্ঘ তিনদশক পর করসেবকদের ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিতর্কিত জমিতে তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। আর বিরানব্বইয়ের সেই ধ্বংস কার্যে শামিল হওয়া এক করসেবক রামমন্দির উদ্বোধনের আগে বিশেষ আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
আর মাত্র সপ্তাহ খানেকের অপেক্ষা। তারপরই অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন। শহরজুড়ে সাজসাজ রব। তবে ২২ জানুয়ারির উদ্বোধন ঘিরে বিতর্কও পিছু ছাড়ছে না। কাদের আমন্ত্রণ করা হচ্ছে, আবার কারা ব্রাত্য, সে নিয়ে যেমন চলছে আলোচনা, তেমনই উদ্বোধনে ৪ শঙ্করাচার্যের না যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এরই মধ্যেই মোদিকে বিশেষ আবেদন জানালেন করসেবক আচল মীনা সিং। রামলালার দর্শন করতে অযোধ্যা যেতে চান তিনি। সেই মর্মেই চিঠি দিয়ে আর্জি করেছেন তিনি।
আসলে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অন্যতম মুখ ছিলেন আচল মীনা। তবে ঠিক সেই সময়ই মসজিদের একটা অংশ ভেঙে পড়ে তাঁর পিঠে। শরীরের নিচের অংশ পক্ষপাতগ্রস্থ হয়ে পড়ে তাঁর। প্রথমে ফৈজাবাদ এবং পরে লখনউয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। ধীরে ধীরে অনেকটা সুস্থ হলেও আর কখনও হাঁটতে পারেননি তিনি। রামমন্দির তৈরির পথ প্রশস্ত করতে গিয়ে চিরতরে হাঁটার ক্ষমতা হারান তিনি। তবে তাতে বিশেষ কষ্ট নেই আচল মীনার। তিনি শুধু রামলালার দর্শন করতে পারলেই খুশি।
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা আচল মীনা মোদির পাশাপাশি তাঁর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবকে চিঠি লিখে আবেদন করেছেন। ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ উদ্বোধনের পর যাতে তাঁকে রামমন্দির যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনটাই আর্জি তাঁর। এবার দেখার তাঁর আবেদনে মোদি সাড়া দেন কি না।