সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছেন দুই পরিযায়ী শ্রমিক। স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশজুড়ে জঙ্গি হামলার সতর্কতা জারি করেছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। তার পরের দিনই জঙ্গি হামলার বলি সাধারণ মানুষ।
কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘পুলওয়ামার (Pulwama) গাড়ুরা জঙ্গিরা পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labors) লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে। হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের। হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন আরও দু’জন।” জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকের নাম মহম্মদ মুমতাজ। তিনি বিহারের সাকোয়া পারসা এলাকার বাসিন্দা। আহত শ্রমিকরাও বিহারের বাসিন্দা। রামপুরের বাসিন্দা ওই দুই ব্যক্তির নাম মহম্মদ আরিফ এবং মহম্মদ মজবুল। তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী (Terrorist Attack) হামলা চালিয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি পুলিশ। এই হামলার দায়ও স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী।
[আরও পড়ুন: খারিজ জামিনের আবেদন, হাথরাস ষড়যন্ত্র মামলায় জেলেই থাকতে হবে সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে]
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। তিনি বলেছেন, “শ্রমিকদের উপরে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করছি। মৃত শ্রমিকের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক, এই কামনা করি। সকল মানুষকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ মার্চ কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে এই দিনটিকে কাশ্মীরের ইতিহাসে অন্ধকার দিন বলে মনে করে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলি।
২০১৯ সাল থেকেই জঙ্গি হামলার টার্গেট হয়েছে কাশ্মীরের পরিযায়ী শ্রমিকরা। এছাড়াও সাম্প্রতিক অতীতে বারবার হামলা চালানো হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে। প্রাণভয়ে অনেকেই অফিস যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় জম্মুতে ফিরে এসেছেন অধিকাংশ কাশ্মীরি পণ্ডিত। বৃহস্পতিবারই আইবির তরফে জানানো হয়েছিল, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় জঙ্গি হামলা হতে পারে। সেই কারণে দিল্লি পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছিল। কাশ্মীরেও একই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সেই আশঙ্কা কতখানি সত্যি, হাতেনাতে তার প্রমাণ পাওয়া গেল এই হামলার ঘটনায়।