ধীমান রায়, কাটোয়া: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে মেয়েকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে হেনস্তার শিকার এক মহিলা। অভিযোগ, রাতে এক যুবক গোপনাঙ্গ দেখিয়ে তাঁকে কু্প্রস্তাব দেয়। রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ফের হাসপাতালের মধ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগকারী মহিলা পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। বাড়ি কাটোয়ার ডুবোপাড়া এলাকায়। তিনি কেতুগ্রাম ব্লকের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত। জানা গিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর ৭ বছরের মেয়ে শনিবার খেলা করতে গিয়ে পড়ে যায়। গুরুতর চোট লাগে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে শিশুটিকে মহিলা সার্জিকাল বিভাগে ভর্তি করা হয়। মেয়ের কাছেই থাকতে হয়েছিল স্বাস্থ্যকর্মীকে। পাশেই পুরুষ বিভাগ। সেখানে এক রোগীর সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত ইনতাজুল হক। অভিযোগ, শনিবার রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ ওই স্বাস্থ্যকর্মীর উদ্দেশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে ওই যুবক। গোপনাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। মহিলা ভয় পেয়ে যান। খবর পেয়ে ছুটে যান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। রবিবার ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
[আরও পড়ুন: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় এসেও রক্ষা নেই, গ্রেপ্তার আওয়ামি লিগের ছাত্রনেতা]
ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, "কাটোয়া হাসপাতালের যা পরিকাঠামো তাতে পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড এরকম এক সঙ্গে থাকলে ভবিষ্যতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।" জানা গিয়েছে, শনিবারেই মুলটি গ্রামের বাসিন্দা ওমর আলি হার্নিয়া অপারেশনের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে সার্জিকাল ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তারই জামাই অভিযুক্ত ইনতাজুল হক। বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবক শ্বশুরের দেখভাল করতে হাসপাতালে ছিল। আর মাঝরাতে তিনি এই কুকীর্তি করে বলে অভিযোগ। ধৃতকে সোমবার আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।