নন্দন দত্ত, সিউড়ি: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) জেরে দু’বছর বন্ধ থাকার পরে এবছর কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে (Tarapith) ভক্তদের বিশাল সমাগম। শুধু ভক্তই নন, দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরাও আসতে শুরু করেছেন বীরভূমের এই জেলায়। প্রস্তুতিও তুঙ্গে জেলা প্রশাসনের। মন্দির চত্বরে বেশ কিছু বিধিনিষেধ কঠোর করা হয়েছে। চোলাই মদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য একটাই, সুষ্ঠুভাবে দেশ-বিদেশের ভক্তরা যাতে পবিত্র দিনটি কাটাতে পারেন। জেনে নিন এবছর কৌশিকী অমাবস্যার নির্ঘণ্ট –
তিথির সূচনা
- ২৬ আগস্ট, শুক্রবার। দুপুর ১২টা ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে অমাবস্যা শুরু।
- অমাবস্যা শেষ ২৭ আগস্ট, শনিবার। দুপুর ১টা ২৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে।
এই সময়ের মধ্যে মন্দির দর্শন, পুজো দেওয়া, প্রসাদ গ্রহণ করে পুণ্যার্জন করতে চান ভক্তরা। তাই এই একটা দিন প্রচণ্ড ভিড় হয়। তারউপর আবার গত ২ বছর কোভিড (COVID-19) আবহে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তাই এবছর বাড়তি জনসমাগম। এবছরও মা তারাকে সাজানো হবে বিশেষ সাজে। তবে এবছর ফ্রিজের জবাফুলই (China Rose)মা তারার গলায় পরাতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, মায়ের গলায় লাল জবাফুলের মালা দিয়ে অর্ঘ্য দিতে হবে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত পর্যটক। তাই চাহিদা পূরণে আগে থেকেই জবাফুল মজুত করে রাখা হয়েছে আশেপাশের বাসিন্দা ফ্রিজে। কড়কড়িয়া, দেখুড়িয়া, বিলাসপুর, উদয়পুর, বড়শাল, গোপালপুর, খরুন, স্বর্গপুর, রামভদ্রপুর, সিন্ধিগড়া এলাকায় এবার জবাফুলের উৎপাদন ভাল হয়েছে। সারা বছর এই এলাকার জবা ফুলের চাষিরা তারাপীঠের মায়ের গলার জবা দেন। কৌশিকী অমাবস্যা মনোস্কামনা পূরণের জন্য ১০৮ ফুলের জবার মালার চাহিদা সর্বাধিক। এবার সেই মালার দামও চড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিশালাকার গণেশের চাপে কুমোরটুলিতে কোণঠাসা বিশ্বকর্মা]
তারাপীঠে পুজোর অন্যতম উপকরণ মদ। কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amabashya) উপলক্ষে সেই চাহিদা আরও বাড়ে। শেষ বছর পাঁচ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। যা থেকে প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছিল রাজ্য। দু’বছর বন্ধ ছিল উৎসব। এবার সঙ্গে শনি-রবির ছুটি। তাই এবার দু’দিনের ভক্তি ও ভিড় দুই সামাল দিতে বিশেষ নজরদারি জেলা আবগারি দপ্তরের।