ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোই হল না কৌস্তভ বাগচীকে (Kaustav Bagchi)। এই মর্মেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে অলিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ছাত্র পরিষদ (Chhatra Parishad) নেতৃত্বকে, এমনই খবর। শোনা যাচ্ছে, কৌস্তভ এ নিয়ে জানতে চায় ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি নেতৃত্বের কাছে। সূত্রের খবর, তাঁকে দলের নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে কৌস্তভ জোর করেই মহাজাতি সদনের অনুষ্ঠানে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা।
গতবছর এই সভা থেকেই নানা বিতর্কিত কথা বলে কংগ্রেস (Congress) হাইকমান্ডকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে, সভা ভণ্ডুলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল দলের তরুণ নেতার বিরুদ্ধে। এবারও তিনি তেমন কিছু ঘটাতে পারেন, এই আশঙ্কা রয়েছে দলের। সেবার তৃণমূল সম্পর্কে হাইকমান্ডের নরম মনোভাব নিয়ে রাজ্যের এআইসিসি (AICC) পর্যবেক্ষকদের সামনেই কড়া প্রশ্ন তুলেছিলেন কৌস্তভ। সিনিয়র নেতৃত্বকে রীতিমতো অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেয়। তুমুল বিতর্ক (Controversy) হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ফ্রান্সের সরকারি স্কুলে এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে মুসলিম ছাত্রীদের আবায়া পরা]
সদ্য পরপর নিজের ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল (TMC) সম্পর্কে দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কৌস্তভ। INDIA জোট নিয়ে আপত্তির কথাও স্পষ্ট করেছেন। সবমিলিয়ে কৌস্তভকে নিয়ে নতুন করে আর বিতর্ক চাইছে না প্রদেশ কংগ্রেস। তবে কৌস্তভ জোর করে এলে, আর অশান্তি হলে পালটা তার জন্য ব্যবস্থা তৈরি আছে বলে সূত্রের খবর। ফলে ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি ঘিরে গোলমাল এর আশঙ্কা এবারও থাকছে। এ নিয়ে কৌস্তভের প্রতিক্রিয়া, “পার্টিটা কারও সম্পত্তি না। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ঠিকই। কিন্তু আমি যাবই। দেখি কে কী বলে। ঝামেলা করলে পালটা ঝামেলা হবে। কে কাকে সন্তুষ্ট করতে এসব করছে, সব জানি।”
[আরও পড়ুন: কলে হাত ধুতে গিয়ে চিতাবাঘের কবলে বৃদ্ধা, ছিঁড়ে নিয়ে গেল মুণ্ড!]
এদিকে সভার মূল আকর্ষণ কানাহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। ১২টায় কলকাতা পৌঁছনোর কথা তাঁর। একটার মধ্যে অনুষ্ঠানে পৌঁছে যেতে পারে। এছাড়া প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী-সহ এ রাজ্যে এসএসসির পর্যবেক্ষকদের নেতৃত্বে আজ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হচ্ছে।