সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ওড়িশার কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ মাঝি। রাজ্যের নবরঙ্গপুর জেলায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকার পর বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তখন প্রাক্তন সাংসদের ফোন আসে। এবং তিনি যা বলেছেন সেই নিয়েও হইহই পড়ে গিয়েছে। রয়েছে ক্যামেরা ফুটেজেও। শুক্রবার দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু লোক শেয়ার করেছেন সেই ভিডিও। আর সেই ভিডিওকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি।
গত ১৪ ডিসেম্বর ওডিশার নবরঙ্গপুরে এক নাবালিকার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তার জেরেই জেলাজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। ভিডিওয় প্রদীপ মাঝিকে বলতে দেখা যাচ্ছে, “পেট্রোল এবং ডিজেল তৈরি রেখো। যে কোনও মুহূর্তে নির্দেশ দেওয়া হবে, সামনে যা পাবে তাতে আগুন লাগিয়ে দিও।” তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। একজন রাজনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ হয়েও কীভাবে তিনি আইন হাতে তুলে নিয়ে হিংসা ছড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন? কেনই বা তাঁর বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না? উঠছে এমনই একাধিক প্রশ্ন।
[আরও পড়ুন: ‘মানবাধিকারকে সম্মান করে সেনা’, বিতর্কের মাঝে ফের মন্তব্য বিপিন রাওয়াতের]
এদিকে, এহেন বয়ান নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন প্রদীপ মাঝি। পালটা নিজের বক্তব্যের সমর্থনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের নামও টেনে আনেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “ওড়িশায় মহাত্মা গান্ধীর নীতি কাজ করছে না। নাবালিকার হত্যার ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসন নীরব। কোনও পদক্ষেপই করছে না তারা। ফলে বাধ্য হয়ে নেতাজির নীতি অনুসরণ করতে হয়েছে আমাদের।” তিনি আরও বলেন, “ফোনে আমি যা বলেছি তা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নই। আমার মা-বোনদের সুরক্ষিত রাখতে আমাকে হিংসার আশ্রয় নিতে হলে তাই নেব।” এদিকে, এই বয়ানের তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেডি’র সাংসদ রমেশ মাঝি। তিনি জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু কোনওভাবেই হিংসা উসকে দেওয়া মেনে নেওয়া যেতে পারে না।
The post ‘দরকারে সব জ্বালিয়ে দাও’, বনধ সমর্থকদের উসকে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.