shono
Advertisement

Breaking News

‘বারবারোসা’থেকে শিক্ষা, গোপনে ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’নিচ্ছে ভারত    

চিনের গতিবিধি নজরে রেখেই সিদ্ধান্ত।
Posted: 12:49 PM Sep 18, 2018Updated: 04:16 PM Oct 27, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বাঁধভাঙা জলের মতো এগিয়ে আসছে দুর্দমনীয় নাৎসি বাহিনী। সোভিয়েত ইউনিয়ন দখল করতে হিটলারের আদেশে চলছে ‘অপারেশন বারবারোসা’। কীভাবে বাঁচবে দেশ? চিন্তায় ঘুম নেই জোসেফ স্তালিনের। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যতটা সম্ভব দেশের ভিতরে সরিয়ে নেওয়া হবে অস্ত্র কারখানাগুলিকে। অস্ত্র উৎপাদন বাড়িয়ে মরণপণ লড়াই চালাতে হবে। নজির গড়ে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করল বলশেভিক দেশটি। চাঙ্গা করে তোলা হল লালফৌজকে। শুরু হল সোভিয়েতের পালটা মার। বাকিটা ইতিহাস। এবার সোভিয়েত রণনীতি মেনেই বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় সেনা।

Advertisement

[সিরিয়ায় ফসফরাস বোমা ফেলেছে আমেরিকা, অভিযোগে সরব রাশিয়া]

সেনা সূত্রে খবর, আগ্রাসী চিনকে নজরে রেখে অন্ধ্রপ্রদেশে অত্যাধুনিক কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলা হবে। প্রকাশম জেলার দোনাকোন্ডায় একটি হেলিকপ্টার  প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। অনন্তপুর জেলায় ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান তৈরির কারখানা তৈরি হবে। সব মিলিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে অস্ত্র উৎপাদন শক্তি বাড়িয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সেনার। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল ভূখণ্ডের গভীরে হওয়ায় এই জায়গাগুলি নিরাপদ। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এখানে সহজে হামলা চালাতে পারবে না শত্রুপক্ষ। ফলে নিরাপদে অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে চিন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ১৯৬২-র যুদ্ধে অসমের তেজপুর পর্যন্ত চলে এসেছিল লালফৌজ। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে সেনাবাহিনী। এক শীর্ষ প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিয়ে বায়ুসেনার সঙ্গে আলোচনা চলছে। একই সঙ্গে উপকূল রক্ষার জন্যও বিশাখাপত্তনমে রয়েছে নৌসেনার রণতরী আইএনএস দেগা। চেন্নাইয়ের কাছে আরাক্কুনামে রয়েছে বায়ুসেনা ঘাঁটি।

উল্লেখ্য, লাগাতার ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করছে চিনা সেনা। উত্তরাখণ্ডে গত আগস্ট মাসেই ভারতীয় সীমার প্রায় চার কিলোমিটার ভিতরে অনুপ্রবেশ করে লালফৌজ। ফলে কমিউনিস্ট দেশটির অভিসন্ধি স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত সাফ জানিয়েছিলেন, দুই ফ্রন্টেই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সেনাকে। ইতিমধ্যেই সেই পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে দেশ। সদ্য মাঝ আকাশেই জ্বালানি ভরা হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত তেজস যুদ্ধবিমানে। আমেরিকা, রাশিয়ার মতো বিশ্বের মুষ্টিমেয় দেশগুলির হাতেই এই প্রযুক্তি রয়েছে। সেই কুলীন দলেও জায়গা করে নিল দেশ।     

     [অফিস টাইমে অবরোধ যাদবপুর ও উলটোডাঙায়, চরম ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের           

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার