সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার কেরলে (Kerala) নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরের। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। তিনি জানান, মারণ ভাইরাস নিপার (Nipah Virus) সংক্রমণের পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় নাবালক। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে তার। রাজ্যে আরও চার জনের অতিঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসা চলছে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। কী কী সতর্কতা জারি হল? কীভাবে নিপা সংক্রমণ হতে পারে?
নিপার হানায় মৃত কিশোরের বাড়ি কেরলের মলপ্পুরমে। জ্বর, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তার। গত ১৯ জুলাই তাকে কোঝিকোড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আগেই কিশোরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পুণের গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিশোরের দেহে নিপা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা রাজ্যে। আক্রান্ত কিশোরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে তার।
[আরও পড়ুন: অলিম্পিকে ভারতীয় খেলোয়াড়দের বিশেষ সম্মান, বিরাট আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা জয় শাহর]
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণার দাবি, কেরলে ৪ জন নিপায় আক্রান্ত হয়েছেন। 'অতিঝুঁকিপূর্ণ' ওই রোগীদের মাঞ্জরি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আরও জানিয়েছেন, ২১৪ জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। কোনও রকম উপসর্গ ধরা পড়লেই তাঁদের নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। মলপ্পুরমের পানিক্কর গ্রাম পঞ্চায়েত নিপার অন্যতম ঘাঁটি মনে করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের সতর্ক করতে সেখানে প্রচার অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন বীণা।
[আরও পড়ুন: ‘অসহায় মানুষ খটখট করলে বাংলার দরজা খোলা’, বাংলাদেশ ইস্যুতে মন্তব্য মমতার]
এছাড়াও কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ সকলকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করেছেন। বিধিনিষেধ জারি হয়েছে কোঝিকোড়ের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢোকা ও বেরোনোর ক্ষেত্রে। নির্দেশ অনুযায়ী, প্রত্যেক রোগীর সঙ্গে কেবল মাত্র এক জনই হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন। কোনও রকম উপসর্গ দেখলেই নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিকে চিকিৎসকেরা বলছেন, পাখি কিংবা পশুতে ঠোকরানো ফল খাওয়া থেকেও নিপার সংক্রমণ হতে পারে। ওই ধরনের ফল খেতে বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাজার থেকে কেনা ফল ভালো ভাবে ধুয়ে তবেই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।