সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ যদি দুষ্কৃতীর রক্ষক হয়ে ওঠেন, তবে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? আইনের রক্ষকের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ দেশে নতুন কিছু নয়, এবার তারই প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখা গেল বাম শাসিত রাজ্য কেরলে। দাগি আসামির বাড়িতে গিয়ে দুষ্কৃতীর সঙ্গে পানাহারের অভিযোগ উঠল ডিএসপি পদ মর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক-সহ ৪ আধিকারির বিরুদ্ধে। ভাগ্যের করুণ পরিহাসে সেই সময়েই পুলিশি অভিযান চলল ওই দুষ্কৃতীর বাড়িতে। পালানোর পথ না পেয়ে শৌচাগারে লুকোলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
রাজ্যে অপরাধমূলক কার্যকলাপে লাগাম টানতে দাগি অপরাধীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে কেরল সরকার (Kerala Government )। সোমবার রাতে তেমনই এক অভিযান চালানো হয় একাধিক অপরাধ মামলায় অভিযুক্ত থামান্না ফয়জলের (Thammanan Faisal) বাড়িতে। অভিযান চালানোর আগেই পুলিশ দলের কাছে খবর আসে প্রভাবশালী কয়েকজন ফয়জলের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন। বাড়ির বাইরে তাঁদের গাড়িও রাখা ছিল। যদিও তাঁরা কারা সে বিষয়ে কিছুই জানতেন না তল্লাশি দলের সদস্যরা। অভিযান শুরু হতেই পালানোর পথ না পেয়ে বাড়ির শৌচাগারের মধ্যে লুকিয়ে পড়েন অভিযুক্ত ওই ৪ আধিকারিক। ফয়জলকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ওই আধিকারিকদের আটক করে স্থানীয় থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ফয়জলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল অভিযুক্ত ওই ৪ আধিকারিকের। মাঝে মধ্যেই ওই দুষ্কৃতীর বাড়িতে পানাহারের আসর বসত। সেখানে আমন্ত্রিত হতেন ওই সব আধিকারিকরা। শীর্ষ কর্তাদের এভাবেই সন্তুষ্ট রেখে এলাকায় নিজের অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাত ফয়জল। সোমবার তেমনই আসর বসে তাঁর বাড়িতে। তল্লাশি অভিযান চলাকালীন অপরাধীর বাড়িতে পুলিশ কর্তাদের দেখে রীতিমতো চমকে যান তল্লাশি অভিযানে থাকা আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন সাজা থেকে মুক্তি, খুনের মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে রাম রহিম]
তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীর বাড়ির পার্টিতে যে ৪ আধিকারিককে পাকড়াও করা হয়েছে তাঁদের একজন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এম জি সাবু। পাশাপাশি একজন ভিজিল্যান্স বিভাগের আধিকারিক ও বাকি ২ জন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর। দাগি অপরাধীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তার এমন আঁতাত প্রকাশ্যে আসায় মুখ পুড়েছে সরকারের। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) নির্দেশে ওই ৪ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।