সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন মহিলা তফসিলি জেনেও তাঁকে স্পর্শ করবে অভিযুক্ত, একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমনই মন্তব্য করলেন কেরালার এক আদালতের বিচারক। মাত্র দু’দিন আগেই ওই বিচারক রায় দিয়েছিলেন, অভিযোগকারিণীর পোশাক যৌন আবেদনমূলক। সেই কারণেই ধর্ষণের অভিযোগ ধোপে টিকবে না। একই অভিযুক্তের মামলায় ফের বিস্ফোরক রায় দিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ৭৪ বছর বয়সি লেখক ও সমাজকর্মী সিভিক চন্দ্রনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন এক দলিত লেখিকা। গত ১৭ জুলাই কোঝিকোড়ের আদালতে (Kerala Court) মামলা দায়ের করা হয়। জামিন অযোগ্য মামলা দায়ের করা হলেও আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন চন্দ্রন। এই মামলার রায় দিতে গিয়েই বিচারক এস কৃষ্ণ কুমার বলেছেন, “অভিযুক্ত আগে থেকেই জানতেন, ওই মহিলা তফসিলি জাতিভুক্ত। সেই কথা জানার পরেও তিনি মহিলাকে স্পর্শ করবেন, এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
[আরও পড়ুন: ‘আদালতকে দোষ দেবেন না’, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি প্রসঙ্গে সরব ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি]
এখানেই না থেমে বিচারক বলেছেন, “সমাজের চোখে ওই লেখকের সম্মান নষ্ট কররা জন্যই এই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সিভিক চন্দ্রন নিজেই পিছিয়ে পড়া (SC) মানুষের স্বার্থে বহুদিন ধরে আন্দোলন করছেন। তিনি আগে থেকেই জানতেন যে অভিযোগকারিণী পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ভুক্ত। সেই কথা মাথায় রেখেই অভিযুক্তকে সমস্ত দায় থেকে নিস্কৃতি দেওয়া যায়।”
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই চন্দ্রনের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে চন্দ্রনের আইনজীবী অভিযোগকারিণীর একটি ছবি আদালতে পেশ করেন। যা দেখার পর আদালত মন্তব্য করে, ছবিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, অভিযোগকারিণীর পোশাক যৌন আবেদনমূলক। সুতরাং ৩৫৪এ ধারায় এই মামলাটি দাঁড়াচ্ছে না। সেই সঙ্গে বিচারক এও জানান, অভিযুক্ত চন্দ্রন এতই বৃদ্ধ ও শারীরিক ভাবে অক্ষম যে তাঁর পক্ষে ওই তরুণীর উপরে গায়ের জোর খাটানো সম্ভব নয়। বারবার এহেন রায় দেওয়ার ফলে যথেষ্ট বিতর্কের মুখে কেরলের আদালত।