সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ের অবর্তমানে ফাঁকা বাড়িতে মেয়েকে ধর্ষণ সৎ বাবার। বছরের পর বছর ধরে চলছিল এই অত্যাচার। এই ঘটনায় সৎ বাবাকে ১৪১ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। শুধু তাই নয়, পিতা নামের কলঙ্ক ওই ব্যক্তিকে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যে টাকা পাবেন নির্যাতিতা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ও অপরাধী দুজনেই তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। পরে তাঁরা সেখান থেকে চলে আসেন তামিলনাড়ুতে। নির্যাতিতার অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকে ওই নাবালিকা কন্যাকে লাগাতার ধর্ষণ করে গিয়েছেন অভিযুক্ত। মেয়েটির মা যখন বাড়ি থাকত না সেই সুযোগে মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করত সৎ বাবা। এবং ঘটনার কথা কাউকে জানালে খুনের হুমকি দেওয়া হত। প্রায় ৭ বছর ধরে এই ঘটনা চলার পর একটা সময় নিজের বন্ধুকে এই ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিতা। তাঁর পরামর্শেই মাকে সব ঘটনা খুলে বলে।
এর পর মা ও মেয়ে দু'জনেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দায়ের হয় অভিযোগ। মামলা যায় কেরলের ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশ্যাল আদালতে। সেখানেই বিচারক আশরফ এএম অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ১৪১ বছরের কারাদণ্ড দেন।
২৯ নভেম্বরের আদালতের রায় অনুযায়ী, ওই অপরাধী ৪০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন, নিয়ম অনুযায়ী এটাই সর্বোচ্চ কারাদণ্ড। এর পর দফায় দফায় বাকি শাস্তি লাগু হবে অপরাধীর উপর। পাশাপাশি, ওই সৎ বাবাকে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যে টাকা পাবেন নির্যাতিতা।