সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক এক বছর আগে এই সময়টাতেই নিপা ভাইরাসেয় আক্রান্ত হয়েছিলেন কেরলের অনেক মানুষ। বছর ঘুরতে ফের নিপা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল কেরলে। রাজ্যের এরনকুলাম এলাকার এক হাসপাতালে সম্প্রতি এক বছর তেইশের পড়ুয়া ভরতি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে নিপা ভাইরাস রয়েছে তাঁর শরীরে। তবে নিপা নিয়ে কোনও রকম আতঙ্ক না ছাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে কেরল সরকার।
২৩ বছরের ওই পড়ুয়া দিনকয়েক আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন। শারীরিক পরীক্ষা চলছে তাঁর। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা জানিয়েছেন, তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভায়রোলজিতে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে রিপোর্ট চলে আসার কথা। তবে প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে অদ্ভুত কিছু ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারপর সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে এরনাকুলামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: আইএস-এ যোগ ‘শিক্ষিত’ ছেলের, প্রশাসনের দ্বারস্থ কাশ্মীরি দম্পতি ]
এরনাকুলাম ও ত্রিশূরে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, নিপা ভাইরায়ের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। রাজ্যে অনেক প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে। ২০১৮ সালে যখন কেরলে থাবা বসিয়েছিল নিপা, তখন তাঁরা অনেকের প্রাণ বাঁচায়। ওই ২৩ বছরের পড়ুয়ার সংস্পর্শে এখনও পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কখনও জরুরি অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়, তার জন্য একটি ওয়ার্ড আলাদা করে রাখা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে গত বছর কেরলে ১৮ জন নিপায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৭ জন মারা যান। নিপায় আক্রান্ত হলে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৯ মে। রাজ্যজুড়ে তখন জারি হয়েছিল হাই অ্যালার্ট। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর হয়। তারপর শুরু হয় মাথাব্যথা ও ক্লান্তি। শ্বাসজনিত সমস্যাও দেখা দেয়। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে রোগী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোমায় চলে যেতে পারে। নিপার প্রধান বাহক বাদুড়। বাদুড়ে খাওয়া কোনও ফল খেলে মানুষের শরীরের প্রবেশ করতে পারে নিপা ভাইরাস।
[ আরও পড়ুন: দোভালেই ভরসা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী, মেয়াদবৃদ্ধি ভারতের ‘জেমস বন্ডে’র ]
The post ফিরল নিপা আতঙ্ক, কেরলের হাসপাতালে ভরতি পড়ুয়া appeared first on Sangbad Pratidin.