সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুক বিতর্কে শরদ পওয়ারকে বিঁধলেন মারাঠি অভিনেত্রী কেতকী চিটালে। তাঁর অভিযোগ, বর্ষীয়ান এনসিপি নেতাকে নিয়ে সরাসরি কোনও পোস্ট তিনি করেননি। তবুও তাঁকে জেলে যেতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ লকআপে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।
বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারকে (Sharad Pawar) নিয়ে ‘অশালীন’ পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মারাঠি অভিনেত্রী কেতকী চিটালে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ২১ টি এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছিলেন এনসিপি নেতানেত্রীরা। তারপরই ১৪ মে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় কেতকীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অবশ্য আপাতত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তারপরই মারাঠা ‘স্ট্র্ং ম্যান’কে কেতকীর কটাক্ষ, “ফেসবুক পোস্টে আমি কাউকে অপমান করিনি। বিষয়টা অনেকেই নিজেদের মতো করে ভেবে নিয়েছেন। তবে কি তাঁরা মেনে নিচ্ছেন যে শরদ পওয়ার এমনই মানুষ? যদি তিনি (পওয়ার) ওই ধরনের মানুষ নন তাহলে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করার অর্থ কী।”
[আরও পড়ুন: দেশে ফের করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১৭ হাজারের বেশি, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস]
গ্রেপ্তারির অভিজ্ঞতা জানতে গিয়ে বছর ঊনত্রিশের কেতকী বলেন, “আমি জানি আমি নির্দোষ। আমাকে বেআইনিভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তারই পরোয়ানা ছাড়াই আমাকে হাজতে পোরা হয়। সেখানে আমার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। প্রচণ্ড মারধর করা হয় আমাকে। পুলিশ হেফাজতে আমার উপর কালো রং ছুঁড়ে মারা হয়। ওই জলে বিষাক্ত রাসায়নিক ছিল। কিন্তু এই লড়াই চলবে। অমর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা হয়েছে। তারমধ্যে একটি মামলায় জামিন পেয়েছি।”
ফেসবুকে ঠিক কী লিখেছিলেন ওই অভিনেত্রী? পোস্টে শরদ পওয়ারের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি তিনি। কেবল ‘পওয়ার’ পদবি ব্যবহার করেছিলেন। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন ওই নেতার বয়স ৮০। উল্লেখ্য, শরদ পাওয়ারের এই মুহূর্তে বয়স ৮১। যা থেকে পরিষ্কার, তিনি পাওয়ারকেই কটাক্ষ করেছেন। কেতকী তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন ‘নরক আপনার অপেক্ষায়’, ‘আপনি ব্রাহ্মণদের ঘৃণা করেন’-এর মতো আপত্তিকর লাইন।