সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খতম বিশ্বসন্ত্রাসের অন্যতম মুখ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের কম্যান্ডার কারি সইফুল্লা মেহসুদ। আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশের গুলু শিবিরের বাইরে তাকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় বন্দুকবাজরা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সইফুল্লা মেহসুদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছে জেহাদি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সেখানে বলা হয়েছে, এই হামলা হাক্কানি নেটওয়ার্ক করেছে। কারণ, কিছুদিন আগে এলাকায় তেহরিক-ই-তালিবানের হকিমুল্লা মেহসুদ গোষ্ঠীর তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে বেশ কিছুদিন ধরেই এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্যের লড়াই চলছে। ওই দেশে বসেই পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটিয়েছে সইফুল্লা। পাকিস্তান সেনার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় সবার উপরে নাম রয়েছে তার। ২০১৫ সালে করাচিতে একটি হামলা প্রাণ দিতে হয় ৪৫ জন নিরীহ মানুষকে। ওই হামলারও মাস্টারমাইন্ড ছিল সইফুল্লা। ২০১৬ সালে মেহসুদ মার্কিন সেনার হাতে একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল। কিন্তু, মাত্র ১৪ মাস তাকে জেল রেখে ছেড়ে দেয় মার্কিন সেনা।
২০০৭ সালে তেহরিক-ই-তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠা করেছিল বইতুল্লা মেহসুদ। তবে নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের জেরে বর্তমানে সংগঠনটি চারটি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এই চারটি গোষ্ঠী হল সোয়াট গোষ্ঠী, মেহসুদ গোষ্ঠী, বাজাউর এজেন্সি গোষ্ঠী আর দারা আদমখেল গোষ্ঠী। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই চার গোষ্ঠীকে এক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিল সইফুল্লা।
কয়েক বছর আগে ওয়াজিরিস্তানের পাক সেনার হামলায় জমি হারাতে হয় টিটিপি-কে। তারপর থেকে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছিল সইফুল্লা। তবে সেখানেও হাক্কানি নেটওয়ার্ক, ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে ক্ষমতার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে টিটিপি। এহেন পরিস্থিতিতে সইফুল্লার মৃত্যুতে কার্যত ভিত নড়ে গিয়েছে সংগঠনটির। চার গোষ্ঠীকে এক ছাতার তলে আনার যে প্রয়াস সে করছিল তা আপাতত ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কের পর টেক্সাস, গির্জায় ঢুকে গুলিতে ২ জনকে হত্যার পর খতম বন্দুকবাজও]
The post আফগানিস্তানে খতম তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের শীর্ষ কমান্ডার appeared first on Sangbad Pratidin.