সুব্রত বিশ্বাস: কালীপুজোর পরদিনই মর্মান্তিক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় (Bhatpara)। রেললাইনের ধারে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ গেল সাত বছরের এক শিশুর। জখম এগারো বছরের আরেকজন। বিস্ফোরণে (Blast) তার হাত উড়েছে বলে খবর। জখম বালককে ভরতি করা হয়েছে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ। কালীপুজোকে (Kali Puja) সামনে রেখে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির জন্য রেললাইনের ধারে কেউ বা কারা বোমা ফেলেছিল বলে অভিযোগ তাঁদের। রেলের আশেপাশে বহু অসামাজিক কাজকর্মের ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে, এই অভিযোগেও সরব তাঁরা।
সোমবার ছিল কালীপুজো। রাতভর বাজি পোড়ানো হয়েছে। সেই সুযোগে কেউ বা কারা শিয়ালদহ মেন লাইনে ভাটপাড়া ও জগদ্দলের মধ্যে রেললাইনে বোমা (Bomb) রেখে গিয়েছিল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সেখানে খেলতে গিয়ে গোলাকার বস্তুটিকে বল ভেবে খেলা শুরু করে খুদে নিখিল পাসওয়াল ও মহেশ সাউ। বোমাটি ছুঁড়ে মারার সঙ্গে সঙ্গেই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে নিখিল ও মহেশ। বিকট শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এসে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাত বছরের নিখিলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আর ১১ বছরের মহেশের একটি হাত উড়ে গিয়েছে বোমা বিস্ফোরণে। জখম অবস্থায় সে ভরতি হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: সন্ধে হতেই ভেসে আসে শিশুর আর্তনাদ, নূপুরের শব্দ! অশরীরী আতঙ্কে কাঁটা বাঁকুড়ার এই গ্রাম]
এই দুর্ঘটনার পরই স্থানীয় মানুষজন একজোটে বিক্ষোভে নামে। তাঁদের অভিযোগ, এই প্রথম সেখানে এমন ঘটনা ঘটছে, তা নয়। ওই এলাকার রেললাইনের ধারে বহুদিন ধরেই অসামাজিক কাজকর্ম চলছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তা নেই। এ নিয়ে বারবার পুলিশ, রেল প্রশাসনকে জানালেও তাঁদের অভিযোগের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এরপর কালীপুজোর পরদিন বোমা বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রেললাইনে (Rail Track) ধারের এলাকাগুলি থেকে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে পদক্ষেপ করুক রেল প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী এত ছোট ঘরে থাকেন! কালীপুজোয় কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে বিস্মিত রাজ্যপাল]
এদিকে, রেললাইনের ধারে বোমা বিস্ফোরণ ও মৃত্যুর ঘটনার জেরে শিয়ালদহ মেন শাখার আপ ও ডাউন লাইনে ধীরগতিতে চলছে ট্রেন। সমস্যা পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।