অর্ণব দাস, বারাকপুর: অনেকদিন ধরেই কুনজর ছিল। সুযোগ পেয়ে অন্ধকার রাস্তায় হাত ধরে টেনে অশালীন স্পর্শ করে। খড়দহের বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে হাড়হিম অভিজ্ঞতার কথা শোনাল এক নাবালিকা। আর তার বয়ানের ভিত্তিতে ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বিষয়টি নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোড়লপাড়া পেয়ারা বাগানের বাসিন্দা, নবম শ্রেণির ছাত্রী শুক্রবার রাতে এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফিরছিল। অভিযোগ, তখনই এলাকার বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত জয় তার পথ আটকে শ্লীলতাহানি করে। প্রতিবাদ করলে আক্রান্ত হতে হয় তাকে। সেই সময় তার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে জড়ো হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। নির্যাতিতার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে মা-বাবা চলে আসেন ঘটনাস্থলে। এরপরই অভিযুক্তকে রহড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নির্যাতিতা বলেন, "অনেকদিন ধরে ও(জয়) আমাকে ফলো করছিল। এদিন তো হাত ধরে টেনে গায়ে হাত দেয়। তখন প্রতিবাদ করলে মারধর করে। বলেছে কিডন্যাপ করে বেঁধে রাখবে। আমি ওর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।"
খবর পেয়ে দলীয় কর্মীদের নিয়ে থানায় যান খড়দহ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ সাহা। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন, "অভিযুক্ত যুবক বিজেপি করে। অনেক নেতার সঙ্গে ওর ছবি সমাজমাধ্যমে আছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় এরকম কাজ করছে। ওর জন্যই ভয়ে ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না। এদিন তো প্রকাশ্যে নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করল। আসলে এটা বিজেপির স্বভাব। এলাকার মানুষ এটা বরদাস্ত করবে না।" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলা বিজেপির সভাপতি চণ্ডীচরণ রায় জানিয়েছেন, "অভিযুক্ত কোনওদিনই বিজেপি করেনি। খুঁজলে হয়ত ধৃতের সঙ্গে তৃণমূল নেতারও ছবি পাওয়া যাবে। বিজেপি নারী নির্যাতনের কট্টর বিরোধী। আমরা ধৃতের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।"
