সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় আড়াই বছর হয়ে গিয়েছে অতিমারীর কালো মেঘ ছেয়ে রয়েছে বিশ্বের আকাশে। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও বেশ কয়েকটি দেশে ফের বাড়ছে সংক্রমণ। এহেন পরিস্থিতিতে কোভিডের বিরুদ্ধে ‘বিরাট জয়’ ঘোষণা করেছেণ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
এএফপি সূত্রে খবর, বিগত দু’সপ্তাহ ধরে দেশে কোনও করোনা সংক্রমণ ঘটেনি বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়ার (North Korea) প্রশাসন। তারপরই বুধবার এই মহামারীর বিরুদ্ধে ‘বিরাট জয়’ ঘোষণা করেছেন একনায়ক কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, এদিন স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কিম। সেখানে তিনি বলেন, “আমরা এই ভয়াবহ মহামারীর (করোনা) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়লাভ করেছি।” কিমের ভাষণ শেষ হতেই বিপুল উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বৈঠকে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেকেই বাকি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রে রকেট হামলা রাশিয়ার, মৃত কমপক্ষে ১৩]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, উত্তর কোরিয়ায় করোনা আক্রান্তদের ‘জ্বরের রোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে খবর। কারণ, দেশটিতে করোনা পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট নেই। একইসঙ্গে, দেশবাসী ও বিশ্বের সামনে আক্রান্তদের আসল পরিসংখ্যান তুলে ধরতে চান না কিম। এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াকেই করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী করেছেন কিমের বোন ইও জং। একইসঙ্গে, সিওলকে প্রতিশোধের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, দেশটির রাজনীতিতে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী বলেই পরিচিত ইও।
বিশ্লেষকদের মতে, মুখে যা খুশি দাবি করলেও উত্তর কোরিয়ায় করোনা (Corona) সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি আরও জটিল করে দেশটির প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের একজনকে টিকা দেওয়া হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার টিকাকরণের দাবি জানালেও সেই আরজিতে আমল দেননি কিম। এমনকী, বন্ধু চিন ও রাশিয়া টিকা জোগান দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তাও ফিরিয়ে দেন তিনি। ফলে দেশটিতে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। এবং গত ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে কিমের প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক।