সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রু দেশে পরমাণু হামলার হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। তাঁর সাফ বার্তা, প্রতিপক্ষ যদি পরমাণু অস্ত্রের আস্ফালন করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আক্রমণ শানাতে পিছপা হবে না পিয়ংইয়ং। ফলে কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে কিমের দেশ।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসেছিল দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) ও আমেরিকা। মনে করা হচ্ছে, সেই আলোচনায় উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে আণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। দুই বন্ধু দেশের মধ্যে পারমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কিম। এর পরই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সামরিক বাহিনীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শত্রুরা যদি পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কোনওরকম উস্কানি দেয় তাহলে কোনও দ্বিধাবোধ না করে যেন পালটা পারমাণবিক হামলা চালানো হয়।”
কিমের এই হুঁশিয়ারির পরই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ওয়াশিংটন, সিওল ও টোকিও। যেখানে পরমাণু শক্তিধর দেশটিকে বলা হয়েছে, ‘এইরকম উস্কানিমূলক কার্যকলাপ বন্ধ করে নিঃশর্ত আলোচনায় আসা উচিত।” উদ্বেগ বাড়িয়ে চলতি বছরে রেকর্ড হারে যুদ্ধাস্ত্র পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া (North Korea)।
[আরও পড়ুন: ‘ওরা চাঁদে পৌঁছে গেল, আমরা এখনও ধরাশায়ী’, ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নওয়াজ]
উল্লেখ্য, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া জোটের সঙ্গে চিন ও উত্তর কোরিয়ার সংঘাত বহু দিনের। বিগতে কয়েকদিনে যা আরও তীব্র হয়েছে। ফলে দুপক্ষের বিবাদে কার্যত বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে কোরীয় উপদ্বীপ। এর মাঝে আগুনে ঘি ধালার মতো কাজ করেছে গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে মার্কিন নৌসেনার সাবমেরিনের প্রবেশ। এবং ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়া। ‘অস্তিত্ব সংকটে’র আশঙ্কায় আগেও বহুবার মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল পিয়ংইয়ন।
এর পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। গত ৯ আগস্ট ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’বৈঠকে সেনাবাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য।