সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংকটে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। বুধবার দেশের শাসক কিম জং উন (Kim Jong-Un) উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে। তাঁর দাবি, দেশের অর্থনীতির খানিকটা উন্নতি হলেও খাদ্য পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কিম।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবারই দেশের ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানে কী কী পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন কিমই। তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া পদক্ষেপের ফলে শিল্প উৎপাদন ২৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গত বছর হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কায় কৃষিক্ষেত্রে হওয়া প্রবল ক্ষতির ধাক্কায় দেশে খাদ্য সংকট শুরু হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তান, সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে নিহত ৫ টিকাকর্মী]
উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি বহুদিন ধরেই সংকটে। গত বছর অতিমারীর ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। দেশের সীমান্ত বন্ধের নির্দেশ দেন কিম। ফলে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার প্রকোপে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গত মাসেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দাবি করেন, এবছর ১০ লক্ষ টন খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে দেশে। এবার কিমের কথাতেও সেই সুর।
জানা গিয়েছে, এখনও সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু না হলেও এই সময়ে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় হলেই খাদ্য সংকট চরম অবস্থায় পৌছলে পরিস্থিতি হাতের একেবারে বাইরে চলে যাবে। তবে এখনও পরিস্থিতি যখেষ্ট সংকটজনক। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকগুলির ব্যর্থতার পর থেকেই গত ২ বছরে আমেরিকা কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে কিম তথা উত্তর কোরিয়ার। এমতাবস্থায় বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও বুধবার একটি বৈঠকে আলোচনা করেন একনায়ক কিম।
করোনায় উত্তর কোরিয়ার কেউ আক্রান্ত হননি, কিমের এমন দাবি ঘিরে প্রথম থেকেই সন্দেহের বাতাবরণ ছিল। উলটে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতি প্রবল ক্ষতির মুখে। আপাতত তাই পরিস্থিতি শোধরাতে মরিয়া কিম জং-উন।