shono
Advertisement

এক বছর পর প্রকাশ্যে কিম জং উনের স্ত্রী! কোথায় ছিলেন এতদিন?

কিম দম্পতিকে একসঙ্গে দেখে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা প্রেক্ষাগৃহ।
Posted: 10:58 AM Feb 17, 2021Updated: 10:58 AM Feb 17, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বহু জল্পনার অবসান। একব ছরেরও বেশি সময় পরে প্রকাশ্যে এলেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Un) স্ত্রী রি সল জু (Ri Sol Ju)। গত বছরের জানুয়ারি থেকে পুরোপুরি অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কেন তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না তা নিয়ে নানা জল্পনা শোনা গিয়েছে এই দীর্ঘ সময়ে। শেষ পর্যন্ত বুধবার এক অনুষ্ঠানে স্বামীর সঙ্গে দেখা গেল তাঁকে।

Advertisement

দেশের প্রাক্তন নেতা দ্বিতীয় কিম জংয়ের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংগীতানুষ্ঠানে যোগ দেন রি। উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে কিম দম্পতিকে কনসার্ট উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে। এদিন তাঁরা একসঙ্গে প্রক্ষাগৃহে প্রবেশ করতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। দেশের সবথেকে বড় সংবাদপত্র ‘রোদং সিনমুন’-এর প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে কিম জং উন ও তাঁর স্ত্রীর ছবি। শেষবার ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে লুনার নিউ ইয়ারের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই কার্যত যেন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসকপত্নী।

[আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে জয়জয়কার! ১৫টি দেশে রাজত্ব করছেন ২০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত, বলছে সমীক্ষা]

এতদিন কোথায় ছিলেন তিনি? কেন প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে? স্বাভাবিক ভাবেই এমন প্রশ্ন উঠেছে বারবার। উত্তর কোরিয়ার রহস্যময় শাসকের কার্যকলাপ যেহেতু পুরোপুরি বাইরে আসে না, তাই এমন জল্পনাও শোনা গিয়েছিল, তিনিই ‘গায়েব’ করে দিয়েছেন নিজের স্ত্রীকে। চেপে যাওয়া হচ্ছে সেই তথ্য। পাশাপাশি এমনই শোনা যাচ্ছিল রি সোল জু সন্তানসম্ভবা, তাই তিনি আড়ালে চলে গিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এমনও দাবি করছিলেন, গুরুতর অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন রি।

কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, আসলে রি প্রকাশ্যে আসেননি করোনার (Coronavirus) জন্য। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই অন্দরমহলে ছিলেন তিনি। দেখভাল করছিলেন কিমের তিন সন্তানের। যদিও কিমের দেশ অতিমারী সম্পর্কে কিছুই জানায়নি। তবুও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, করোনার প্রকোপ থেকে রেহাই পায়নি উত্তর কোরিয়া। দেশের সীমান্ত ‘সিল’ করে দেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে চিনের সক্রিয় আদানপ্রদান হয়েছিল। তাই চিন থেকে মারণ ভাইরাস দেশে ঢোকা আটকানো তাদের পক্ষে কার্যত অসম্ভবই ছিল বলে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে রাতারাতি নতুন আইন, বিক্ষোভ দেখালে হতে পারে ২০ বছরের জেল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement