সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর দেশকে সমঝে চলে গোটা বিশ্ব। দেশের অন্দরেও তাঁর নির্দেশ অমান্য করলে জোটে চরম শাস্তি। সেই কিম জং উন (Kim Jung Un) নাকি সারাদিন কান্নাকাটি করছেন! মনের দুঃখ ভুলতে রাতদিন মদ্যপান করছেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) দাপুটে একনায়ক। শুধু তাই নয়, অসুস্থও হয়ে পড়েছেন তিনি। কেবলই তাঁর মনে হচ্ছে, আর বেশিদিন বাঁচবেন না। সব মিলিয়ে কাবু হয়ে পড়েছেন কিম জং উন। লোকচক্ষুর আড়ালেই দিন কাটছে তাঁর। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট থেকে কিমের শারীরিক সমস্যার কথা জানা গিয়েছে। চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
ঠিক কী অসুখে ভুগছেন কিম? রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিড লাইফ ক্রাইসিসে ভুগছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক। চলতি সপ্তাহেই ৪০ তম জন্মদিন পালন করেছেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছেন কিম। তাছাড়া প্রাণহানির আশঙ্কায়ও রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন তিনি। তাই দুশ্চিন্তা কাটাতে আকন্ঠ মদ্যপান করছেন কিম জং উন। অবিলম্বে মদ্যপান বন্ধ করে শরীরচর্চা করতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাঁদের কথা উড়িয়ে দিয়ে নিজের মতোই চলছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
[আরও পড়ুন: ধোপে টিকল না চিনের আপত্তি, মক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের]
উত্তর কোরিয়ার এক ডাক্তার জানিয়েছেন, “প্রায় ৪০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে কিমের। তাই নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার সংক্রান্ত কারণেও উদ্বেগ বাড়ছে কিমের। শোনা যাচ্ছে, একেবারে একা হয়ে পড়েছেন তিনি। প্রচুর মদ্যপান করে কান্নাকাটি করছেন কিম।” মূলত মদ্যপানের জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কিম, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁর অসুস্থতার খবর বাইরে প্রকাশ হয়ে পড়ছে বলেও আশঙ্কিত কিম।সেই জন্যই দেশের বাইরে গেলে নিজের জন্য বিশেষ শৌচাগারের ব্যবস্থা করছেন কিম, যেন তাঁর মল পরীক্ষা করে অসুস্থতার খবর জানতে না পারে অন্য দেশের গুপ্তচররা।
৬৯ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল কিমের বাবা দ্বিতীয় কিম জংয়ের। ২০১১ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই কারণেই কিমের মনে হচ্ছে, একইভাবে কম বয়সে মৃত্যু হবে তাঁরও। প্রসঙ্গত, বাবার মৃত্যুর পরে উত্তর কোরিয়ার সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন কিম। সেই রীতি মেনেই নিজের মেয়েকে দেশের সর্বোচ্চ পদের জন্য প্রস্তুত করছেন তিনি। একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের অনুষ্ঠানে মেয়েকে প্রথমবার প্রকাশ্যে এনেছিলেন কিম। তারপরেই জল্পনা শুরু হয়, এই কিশোরীই কি দেশের ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট?