shono
Advertisement

হ্যাকিংয়ে ডলার হাতিয়ে মিসাইল বানাচ্ছেন কিম! আমেরিকার দাবিতে শোরগোল

কপালে চিন্তার ভাঁজ বাইডেন প্রশাসনের। 
Posted: 01:44 PM Oct 24, 2023Updated: 01:44 PM Oct 24, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ করার জন্য নিজের তথ্য-প্রযুক্তি কর্মীদের কাজে লাগাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। আর সেই অর্থেই পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইল বানাচ্ছেন তিনি। এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। যা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের।  

Advertisement

এফবিআই জানিয়েছে , মার্কিন সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) হাজার হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। এঁরাই তাঁদের আয়ের একাংশ অতি গোপনে পাঠাচ্ছেন পিয়ংইয়ংয়ে, যা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করছেন কিম (Kim Jong Un)। প্রতি বছর এভাবেই লাখ লাখ মার্কিন ডলার উত্তর কোরিয়ার কোষাগারে জমা পড়ছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার গোয়েন্দারা।

[আরও পড়ুন: ২ ইজরায়েলি পণবন্দিকে ছাড়ল হামাস, ‘মানবিক কারণ’, জানানো হল বিবৃতিতে]

চলতি সপ্তাহে সেন্ট লুইসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন এফবিআইয়ের (FBI) কর্তারা। তাঁদের দাবি, মার্কিন সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক কাজ পেতে নাম ভাঁড়াচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার আইটি ইঞ্জিনিয়াররা। শুধু তাই নয়, অস্ত্রভাণ্ডার পরিপূর্ণ রাখতে কিমই তাঁদের কাজের ছুতোয় পাঠাচ্ছেন আমেরিকার তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায়। মার্কিন গোয়েন্দাদের কথায়, তাঁদের চোখে ধুলো দিতে নতুন একটি পন্থা অবলম্বন করছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রথমে চিন ও রাশিয়ায় (Russia) পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পাকাপাকিভাবে থেকে যাচ্ছেন তাঁরা। এভাবেই দূরে বসে ফ্রিল্যান্সের ভিত্তিতে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোর হয়ে কাজ করছেন উত্তর কোরিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। সেন্ট লুইসের এক গোয়েন্দা কর্তা বলছেন, “উদ্বেগের বিষয় হল ফ্রিল্যান্স হিসাবে নিযুক্ত এই সমস্ত কর্মীরা খুব সহজেই অনেক কিছুর অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছেন। বাড়ির ওয়াইফাই কানেকশন হস্তগত করা তাঁদের কাছে জলভাত। এটার উপর ভিত্তি করে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ডলার চুরি করার প্রবণতাও রয়েছে তাঁদের।”

প্রসঙ্গত, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া জোটের সঙ্গে চিন ও উত্তর কোরিয়ার সংঘাত বহু দিনের। এর মাঝে আগুনে ঘি ধালার মতো কাজ করেছে গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে মার্কিন নৌসেনার সাবমেরিনের প্রবেশ। এবং ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়া। তার পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে কিমের দেশে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সেদেশের সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা।

[আরও পড়ুন: ‘হেজবোল্লা লড়াইয়ে নামলে কিন্তু… ‘, কী হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর মুখে?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement