রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: চোরাশিকার দমনে বড়সড় সাফল্য পেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ (Jaldapara National Forest)। উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে গণ্ডারের চোরাকারবারের মূল পান্ডা গ্রেপ্তার। পুলিশ ও বনদপ্তর যৌথ তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে অসমের (Assam) কামরূপ থেকে কুখ্যাত গণ্ডার শিকারি রিকোচ নার্জিয়ারিকে গ্রেপ্তার করল। তাকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফও নবজিত দে। গোটা অপারেশনের কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা পুলিশকে।
পুলিশ ও বনদপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের বনাঞ্চল তো বটেই, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন জঙ্গল থেকে চোরাপথে গণ্ডার শিকার করে মোটা টাকার বিনিময়ে পাচারে মূল পান্ডা ছিল এই রিকোচ নার্জিয়ারি। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের এডিএফও নবজিত দে জানান, ২০১৪ সাল থেকে এখানে প্রায় দশটি গণ্ডার পাচার হয়েছে। সবকটিই ছিল রিকোচের পরিকল্পনামাফিক। প্রথমদিকে সে নিজেও চোরাপাচারকারীদের (Poachers) দলে থাকত। পরবর্তীতে নিজে মণিপুর বা অসমের ডেরা থেকে গোটা দলকে নির্দেশ দিত। একাধিক বনাঞ্চলে এ বিষয়ে মামলা রয়েছে রিকোচ নার্জিয়ারির বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলাকে নিয়ে পালানোর শাস্তি! যুবককে জুতো চাটিয়ে মূত্রপান করানো হল মধ্যপ্রদেশে]
জানা গিয়েছে, গত ১৯ মার্চ অসমের কামরূপ জেলা থেকে রিকোচকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ও বনদপ্তরের যৌথ অভিযানে নাগালে আসে রিকোচ। আদতে মাদারিহাটের বাসিন্দা সে। পরবর্তীতে উত্তর-পূর্ব ভারতের নানা স্থানে ডেরা বেঁধে থাকতে শুরু করে। গোপন সূত্রে ডেরার খোঁজ পেয়ে চলে অভিযান। তাতেই গ্রেপ্তার করা হয় রিকোচ নার্জিয়ারিকে। তাকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করে। ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বনদপ্তরের দাবি, গণ্ডার পাচার চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার তাদের বড়সড় সাফল্য।