সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মধ্যে মতবিরোধ লেগেই রয়েছে। তাঁর মধ্যেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud) চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিদেরও শামিল করতে হবে, এই মর্মেই চিঠি দিয়েছেন রিজিজু। তাঁর মতে, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অধিকার দিতে হবে সরকারের প্রতিনিধিদের। প্রসঙ্গত, কলোজিয়ামের পদ্ধতি মেনে যেভাবে বিচারপতি নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চলে আসছে, তার বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি সরকার।
দীর্ঘদিন ধরেই বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে মতবিরোধ হচ্ছে কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের। এহেন পরিস্থিতিতে রিজিজুর চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিনিধিদের শামিল করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। কীভাবে এই বিষয়টিকে কার্যকর করা যায়, তা নিয়ে একাধিক পরামর্শও দিয়েছেন রিজিজু। তাঁর যুক্তি, জনতার কাছে স্বচ্ছ থাকার কারণেই বিচারপতি নিয়োগের সময় জনপ্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: ‘আমি মধ্যবিত্ত, ওদের কষ্ট বুঝি’, বাজেটের আগে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর]
গত বছরই রিজিজু বলেছিলেন, ১৯৯১ সালের আগে সরকারের তরফেই সমস্ত বিচারক ও বিচারপতিদের নিয়োগ করা হত। পরবর্তীকালে কলোজিয়াম প্রথার প্রচলন হয়। এই ব্যবস্থার জেরে সংবিধানের আদর্শ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন রিজিজু। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর একাধিক মন্তব্যে সাফ বোঝা গিয়েছিল, বিচারপতি নিয়োগ কমিশনকে সম্ভবত বাতিল করে দেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠির বিষয়ে রিজিজু বলেছেন, আগেও একাধিক চিঠি লেখা হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে। এটা শুধু মাত্র তার ফলো আপ।
ঠিক কী নিয়ে বিবাদ কেন্দ্র ও শীর্ষ আদালতের? আসলে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে প্রায় নিয়মিত কোনও না কোনও বয়ান দিচ্ছে কেন্দ্র। তাতে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের অভিযোগ, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বিচারবিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা হতাশাজনক।