সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ দুয়েক হল তিনি পর্যটন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন। এই অল্প সময়ে বিতর্কের কেন্দ্রে কে জে আলফোনস। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন বিদেশিরা এদেশে এসে গো-মাংসের আবদার করতে পারবেন না। এবার তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী আজব যুক্তি দিলেন। পালটা প্রশ্ন ছুড়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, যাঁরা গাড়ি কিনতে পারেন, পেট্রলের বাড়তি দাম দিতে তাঁদের অসুবিধা কোথায়? তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
[কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বোনকে অপহরণের চেষ্টা, প্রশ্নের মুখে যোগীর প্রশাসন]
তারপরও নিজের অবস্থানে অনড় প্রাক্তন এই আমলা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সংখ্যালঘু মুখের বক্তব্য, পেট্রল-ডিজেলে কর বসানোর বিষয়টি সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এক্ষেত্রে আলফোনসের ব্যাখ্যা, যাঁর গাড়ি বা বাইক আছে, তাঁর কর দেওয়ারও সামর্থ রয়েছে। তাহলে তাঁদের এই কর দিতে অসুবিধা কী থাকতে পারে! সুতরাং পেট্রলের দাম বাড়লে তেমন মাথাব্যথা হওয়ার কথা নয়। বাড়তি দাম দিয়ে তিনি তা কিনতেও পারবেন। কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রীর প্রশ্ন, পেট্রলের দাম বাড়ার জন্য তাদের কী না খেয়ে মরতে হবে? পেট্রলে বাড়তি কর নিয়ে বিচিত্র যুক্তি সাজিয়েছেন মন্ত্রীমশাই। এক্ষেত্রে তাঁর নিশানা মধ্যবিত্তরা। তাঁর দাবি, পেট্রলের বাড়তি দামে যে কর আদায় হয়, সেই অর্থ গরিবদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়। করদাতাদের থেকে কর আদায়ের ফলে গরিবদের জীবনযাত্রার উন্নতি হলে এতে খারাপের কী আছে?- প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী। এই ইস্যুতে তিনি কৌশলে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে বিঁধেছেন। আলফোনসের দাবি, বিগত সরকার মানুষের কাছ থেকে টাকা চুরি করত। তবে বর্তমান সরকারের নীতি খুব স্পষ্ট। এই সরকার গরিবদের জন্য দায়বদ্ধ। এদের উন্নয়ন অর্থাৎ, বাড়ি, স্কুল, শৌচাগার, বৈদ্যুতিকরণের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আর সেই অর্থ করদাতাদের কাছ থেকেই নেওয়া হবে। যাদের সত্যিকারের কর দেওয়ার ক্ষমতা আছে। ইচ্ছাকৃতভাবেই এটা করা হচ্ছে।
[গো-মাংস নিয়ে বিদেশি পর্যটকদের ‘ফতোয়া’ কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রীর]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র অজয় মাকেনের বক্তব্য, এই কথা বলে সরকারের আসল রূপ প্রকাশ করেছেন আলফোনস। পেট্রলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিদ্রুপের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী। বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রীতিশ নন্দী টুইটারে লেখেন, মন্ত্রীর যুক্তি মেনে নিলে যে কোনও ধরনের ডাকাতি এখন বৈধ। একজন লেখেন, তাহলে ধরে নিতে হবে গরিবরা যেহেতু বাসে চড়েন তাই কখনও ভাড়া বাড়বে না।
The post ’গাড়ি কিনতে পারলে পেট্রলের দাম দিতে অসুবিধা কোথায়?’ appeared first on Sangbad Pratidin.